চলতি মাসের শেষেই কি এসএসসি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি, চর্চা
আর্যভট্ট খান
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে ৩১ মে-র মধ্যে এসএসসি-কে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। কিন্তু সূত্রের খবর এখনও সেই বিজ্ঞপ্তি বিশ বাঁও জলে। কারণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য শিক্ষা দফতরের তরফে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) মোট শূন্যপদ, কোন বিষয়ে কত শূন্যপদ আছে, শূন্য পদে সংরক্ষণ কী ভাবে হবে তার কিছুই এসএসসি-কে পাঠায়নি শিক্ষা দফতর। বিজ্ঞপ্তি বেরোতে আর মাত্র ২০ দিন বাকি। শিক্ষা দফতর এখনও শূন্য পদের তালিকাই এসএসসিকে পাঠাতে পারেনি।
স্কুলগুলিতে বিষয়-ভিত্তিক, ক্যাটেগরি ভিত্তিক কত শূন্য পদ আছে তা সংগ্রহ করে জেলা স্কুল পরিদর্শক। জেলা-ভিত্তিক স্কুলের সেই শূন্য পদ তালিকা তাঁরা পাঠান কমিশনারকে। কমিশনারের দফতর তা ভাল ভাবে যাচাই করে শিক্ষা দফতরকে পাঠায়। এর পরে শিক্ষা দফতর সেই শূন্য পদের তালিকা এসএসসি-কে পাঠায়। এসএসসি এর পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, শূন্য পদের তালিকা এসএসসি-র হাতে না এলে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাজ শুরুই করা যায় না। শূন্য পদের তালিকা এসএসসি-র কাছে পৌঁছনো মানে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেল।”
শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মতে, এ বার শূন্য পদের তালিকায় ওবিসি-র সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ উচ্চ আদালত ইতিমধ্যে রাজ্যের ২০১০ সালের পরের ওবিসি শংসাপত্রধারীদের তকমা বাতিল করেছে। তাই এসএসসি-র নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ওবিসি সংরক্ষণের ভাগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। ৩১ মে খুব বেশি দূরে নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমাফিক বিজ্ঞপ্তির কাজ কি আদৌ শুরু হয়েছে? এসএসসি সূত্রের দাবি, নতুন বিজ্ঞাপনের বয়ান কেমন হবে, অনলাইনে আবেদনের খুঁটিনাটি লেখা— এর জন্য কোডিং-এর কাজ চলছে।
এসএসসি অফিসের সামনে ধর্নার জন্য কাজে অসুবিধা হচ্ছে বলেও এসএসসি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। খোদ এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ঘেরাও হওয়ার ভয়ে এসএসি অফিসে না গিয়ে বিকাশ ভবন থেকে কাজ করছেন। এক আধিকারিক বলেন, “চেয়ারম্যান এসএসসি অফিসে বসতে পারছেন না। ফলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে মিটিং থেকে শুরু করে নানা কাজ আটকে যাচ্ছে।”