নেই বিদায় সংবর্ধনা
}} সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর অবসরের দিনে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করল না সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। অবসরের দিনে প্রথামাফিক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে বসলেন বিচারপতি ত্রিবেদী। তখনই আইনজীবীদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে আমি বাধ্য। কারণ আমি সহজ ও সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করি। এমন অবস্থান নেওয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের উচিত হয়নি।’’ বিদায় সংবর্ধনা না দেওয়া নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনে প্রস্তাব পাশ হলেও শুক্রবার বিচারপতি ত্রিবেদীর শীর্ষ আদালতে কর্মজীবনের শেষ দিনে প্রধান বিচারপতির এজলাসে হাজির ছিলেন বারের সভাপতি কপিল সিব্বল ও উপ-সভাপতি রচনা শ্রীবাস্তব। তাঁদের ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘‘নানা ধরনের বিচারপতি থাকেন। কিন্তু সেই কারণে কারও যা প্রাপ্য তা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। বিচারপতি ত্রিবেদী অত্যন্ত ভাল বিচারপতি ছিলেন। নতুন যাত্রার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই।’’ বিচারপতি ত্রিবেদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবীদের নানা বিষয়ে মতান্তর ঘটেছিল।
‘দারুণ গল্প’
}} রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সময়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। দুই রোহিঙ্গা আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী কলিন গনসালভেস দাবি করেন, কয়েক জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের নামে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তার পরে দিল্লি থেকে তাঁদের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চোখ ও হাত বেঁধে নৌসেনার জাহাজে তোলা হয়। তার পরে তাঁদের মায়ানমারের উপকূলের কাছে লাইফজ্যাকেট পরিয়ে জলে ফেলে দেওয়া হয়। সাঁতরে মায়ানমারের উপকূলে পৌঁছন তাঁরা। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘‘এটা দারুণ গল্প। প্রতি দিন আপনারা নতুন গল্প নিয়ে আসেন।’’ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতেও রাজি হয়নি বেঞ্চ। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের একটি তিন সদস্যের বেঞ্চও স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি।
আকাশতিরের জন্য
}} পাকিস্তান ও ভারতের সংঘাতের সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দিকে যে সব পাক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন বা ছোট ছোট ইউএভি (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল) ভারতের আকাশসীমায় ঢুকেছিল তা প্রতিরোধ করা গিয়েছে ‘আকাশতির’ নামে এক আদ্যন্ত ভারতীয় প্রযুক্তির সাহায্যে। সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ
অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজ়েশন (ডিআরডিও), ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশন (ইসরো) এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল)। । ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, বিমান এবং ইউএভি আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে ‘আকাশতির’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা পরিচালিত এই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিটি আবহাওয়া এবং
ভূখণ্ড সংক্রান্ত তথ্য নিজে থেকেই সংগ্রহ করতে পারে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সময় বুঝে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রত্যাঘ্যাত করতে সক্ষম ‘আকাশতির’।