অকল্পনীয় শাস্তি দেব,
হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিল: পহেলগামে জঙ্গি হানার ৪৮ ঘণ্টা পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা বিশ্বের সামনে কড়া বার্তা দিলেন সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি। ভোটমুখী রাজ্য বিহারের মাটি থেকে তিনি আজ বলেন, ‘‘তারা এমন শাস্তি পাবে, যা তাদের কল্পনারও অতীত।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, হিন্দিতেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গ শুরু করতেই তিনি ইংরেজিতে বলতে শুরু করেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, কার্যত পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি বিশ্বের দরবারেও নিজের বক্তব্য পৌঁছে দিলেন। এ দিনই এই ব্যাপারে গোটা বিশ্বকে সঙ্গে নেওয়ার কাজও শুরু করল বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী আজ আমেরিকা, রাশিয়া, চিন-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে পহেলগাম হামলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। দেশেও জনমত গঠন করতে সর্বদল বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেখা করেছেন নৌ, বিমান এবং স্থলসেনার সর্বাধিনায়িকা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী
মুর্মুর সঙ্গে।
এ দিন বিহারের মধুবনীতে একটি সভায় বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটমুখী বিহারের সেই সভায় হাজির ছিলেন এনডিএ-র জোট সঙ্গী নীতীশ কুমারও। হিন্দিতেই বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের প্রসঙ্গ আসতেই তিনি ইংরেজিতে বলেন, “বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবীকে বলতে চাই, ভারত জঙ্গিদের এবং তাদের মদতকারীদের ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বার করে শাস্তি দেবে। বিশ্বের শেষ প্রান্তে গিয়ে আমরা তাদের খুঁজে বের করব। তারা এমন শাস্তি পাবে, যা তাদের
কল্পনারও অতীত।”
বক্তব্যের শুরুতেই পহেলগামে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নীরবতা পালন করেন মোদী। হাতজোড় করে নীরবতা পালন করতে দেখা যায় তাঁকে। উপস্থিত সকলকেও নিজের আসনে বসেই নীরবতা পালন করতে বলেন মোদী। তাঁর কথায়, “সন্ত্রাসবাদ বিচারের আওতার বাইরে থাকতে পারে না। ন্যায়বিচারের জন্য সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যাঁরা মানবতাবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। ন্যায়বিচারের জন্য গোটা দেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “এই জঙ্গি হামলায় কেউ পুত্রকে হারিয়েছেন,