বিচার দ্রুত শেষ করতে চার্জশিটে বাহুল্য কমাতে নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা
বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চার্জশিটে অপ্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম বাদ দিয়ে শুধু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের নাম রাখতে তদন্তকারী অফিসারদের নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। সেই সঙ্গে চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে সাক্ষীদের নামের তালিকা খুঁটিয়ে দেখে নিতে সুপারভাইজ়ার অফিসার, অর্থাৎ ওসি এবং এসি-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট নকশাও (ফরম্যাট) দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশিকা জারি হয়েছে লালবাজারের তরফে। কলকাতা পুলিশের সমস্ত থানা এবং তদন্তকারী ইউনিটকে এই নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, অনেক সময়েই দেখা যায়, চার্জশিটে এমন অনেক সাক্ষীর নাম রয়েছে, যাঁদের নাম না থাকলেও চলে। বিচার চলাকালীন তাঁদের সকলের সাক্ষ্য নিতে গিয়ে মামলার গতি কমে যায়। এর ফলে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। সেই কারণে নগরপালের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যাঁদের সাক্ষ্যদানের উপরে মামলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, শুধু তাঁদেরই নাম চার্জশিটে রাখা হোক। বাকি অপ্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম বাদ দেওয়া হোক। তাতে মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।
নগরপালের ওই নির্দেশিকায় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৯৩ নম্বর ধারা মেনে চলতেও বলা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, চার্জশিটে নাম রাখার আগে প্রত্যেক সাক্ষীর বক্তব্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করতে হবে। কারও বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে বলেই সাক্ষী হিসাবে নাম রাখতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যাচাই করার জন্য প্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম বিচার পর্বের সময়ে উল্লেখ করা উচিত।
পুলিশ সূত্রের খবর, চার্জশিটে যাতে অপ্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম না থাকে, তা দেখার জন্য সুপারভাইজ়ার অফিসার বা তত্ত্বাবধায়ক অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তাতে বলা হয়েছে, চার্জশিট দাখিলের আগে প্রস্তাবিত সাক্ষীদের তালিকা খুব সতর্ক ভাবে পরীক্ষা করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত সাক্ষীর অন্তর্ভুক্তি যাতে চার্জশিটে হয়, তা যেমন দেখতে হবে, তেমনই অপ্রয়োজনীয়দের বাদ দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। আইনজীবী এবং পুলিশের একাংশের অনুমান, চার্জশিট থেকে অপ্রয়োজনীয় সাক্ষীদের নাম এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য বাদ গেলে বিচার পর্ব দ্রুত শেষ হবে।