সম্প্রতি উত্তরণ নৃত্য উৎসব আয়োজন করেছিল কলকাতার মালশ্রী জ্ঞানমঞ্চ। সন্ধ্যার প্রথম পারফরম্যান্স ছিল ওড়িশি নৃত্যশৈলীতে আধারিত নৃত্যনাট্য ‘সময়’। নৃত্যনাট্য পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন অর্পিতা ভেঙ্কটেশ। সন্ধ্যার অন্য দু’টি পারফরম্যান্স ছিল পারমিতা মৈত্র অ্যান্ড গ্রুপ এবং ঝিনুক মুখোপাধ্যায়ের দলের। অর্পিতা ভেঙ্কটেশ এবং তাঁর প্রযোজনা ছিল ‘সময়’। এটি হিন্দু পুরাণের বিভিন্ন চরিত্র ও ঘটনা যেমন শিব ও সতীর মৃত্যু, অহল্যার অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং রত্নাকর দস্যুর ঋষি বাল্মীকি হয়ে ওঠার গল্পের মাধ্যমে জীবনের গভীর দার্শনিক বার্তা প্রদান করে। ‘সময়’ নৃত্যনাট্যটি এই দর্শনের উপরে ভিত্তি করে গঠিত। অর্পিতা ভেঙ্কটেশের কোরিয়োগ্রাফি ও সুকান্ত কুণ্ডুর সঙ্গীত রচনায় প্রাচীন হিন্দু পুরাণের ঘটনাগুলি নতুন ভাবে জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
দোল উৎসবের প্রভাতে প্রতি বছরের মতো এ বারও সল্টলেকের এ এল ব্লক-এ হৃদয়ঙ্গম ইনস্টিটিউট অব মিউজ়িক অ্যান্ড আর্টের বসন্ত উৎসব উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে প্রতিষ্ঠানের বয়স্ক সদস্যদের দেখতে পাওয়া যায়। এর পর ব্যানার হাতে দুই কিশোর যুবক ও তার পর প্রতিষ্ঠানের নৃত্য বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠি, খোল ও মন্দিরা হাতে নৃত্যের সারি এগিয়ে চলে সঙ্গীতের তালে তালে। নৃত্য বিভাগের পরিচালনায় ছিলেন কর্ণধার অনন্যা রায়ের কন্যা উৎসা রায়। এর পর থাকে সঙ্গীত ও অন্যান্য বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সারি। তাঁরা বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শোভাযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যান। ‘নীল দিগন্তে’, ‘ব্রজ গোপী খেলে হোরি’, ‘কুমকুম আবির ফাগে’, ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ ইত্যাদি বহু সঙ্গীত পরিবেশন করে।
সম্প্রতি এক হৃদয়গ্রাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, মুম্বই-নিবাসী কিশোরী সাহানা সোমের রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম একক অনুষ্ঠান হয়ে গেল বিড়লা অ্যাকাডেমি সভাগৃহে। তিনি গান পরিবেশন করেন তাঁর গুরু রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মনোজ মুরলী নায়ারের সঙ্গে। উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ছিল ‘চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে’, ‘নয় নয় এ মধুর খেলা’, ‘গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি’, ‘রাখো রাখো রে জীবনে’।