জঙ্গিদের
পুলিশ। সে বারও বেছে বেছে মারা হয়েছিল পথচারীদের। পহেলগামে হামলার সঙ্গে আরও বেশ কিছু মিল রয়েছে রাজৌরি-কাণ্ডের। দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করতে মুস্তাক ও নিসারকে জেরা করা হয়েছে। মাছিল, কেরান, নওগাম, বারামুলা, উরি-সহ সীমান্তবর্তী জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় খানাতল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনের যৌথ বাহিনী। এই সমস্ত এলাকা দিয়েই মূলত জঙ্গি-অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পহেলগামের প্রত্যক্ষদর্শীদের পাশাপাশি আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে এনআইএ-র বিভিন্ন দল কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্যেই গিয়েছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ২ হাজার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত দু’দিনে জম্মু-কাশ্মীরে আটক করা হয়েছে প্রায় ১০০ জনকে। ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে সেখানে এত বড় ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটেনি।
অন্য দিকে, আজ হ্যাপি পাসিয়া নামে এক খলিস্তানি জঙ্গির কার্যকলাপ নিয়ে খোঁজ নিতে পঞ্জাবের ১৭টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক খলিস্তানি নেতা হরবিন্দর সিংহ ওরফে রিন্ডার সহকারী হিসেবে কাজ করে এই হ্যাপি পাসিয়া। পঞ্জাবের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সে-ই মূল চক্রী বলে মনে করছে পুলিশ।
সম্প্রতি এনআইএ-র তৎপরতায় আমেরিকায় হ্যাপিকে আটক করে এফবিআই। সেই সূত্রে আজ গুরুদাসপুর, বাটলা, ফিরোজ়পুর, ফাজ়িলকা, অমৃতসর, ফরিদকোট-সহ ১৭টি জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। প্রচুর সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, জাল নথি ও বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে তারা। ভারত-সহ অনেক দেশেই রিন্ডার সন্ত্রাসের জাল বিছানো রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এ দেশে হামলা ঘটাতে রিন্ডার হয়ে জঙ্গিদের নিয়োগ করত পাসিয়া। বব্বর খালসা জঙ্গি সংগঠনের মাধ্যমে বিদেশ থেকে, বিশেষ করে পাকিস্তানকে ঘাঁটি করে জঙ্গিদের অর্থ, অস্ত্র এবং বিস্ফোরকের জোগান দিত সে।