মমতা-সফরের আগে নাটুকে টানাপড়েনও
অচেনা হিংসা কেন, খুঁজছে জাফরাবাদ
সন্দীপন চক্রবর্তী l শমসেরগঞ্জ
শমসেরগঞ্জ: বাড়ির দেওয়ালে চকচকে পোস্টারে জ্বলজ্বল করছে থানার আইসি, স্থানীয় এসডিপিও, পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর। রাস্তা থেকে বাড়ির দিকে শ্যেনদৃষ্টি রাখছে নতুন সিসি ক্যামেরা। দাওয়ায় এবং ভিতরের দালানে সিভিক ভলান্টিয়ার, রাস্তায় ঘনঘন আনাগোনা পুলিশের গাড়ির।
এ সবের দিকে যেন বিদ্রুপের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বাড়ির ভাঙা দরজাটা! একটু দূরে টাঙ্গির কোপে দো’ফলা হয়ে যাওয়া সজনে গাছটাও। যার তলায় পড়ে ছিল প্রৌঢ়ের নিথর দেহ। কয়েক হাতের মধ্যে ছেলের।
শমসেরগঞ্জের জাফরাবাদে আক্রোশের চিহ্ন বয়ে পড়ে থাকা পাড়া এখন এমনই বৈপরীত্যের সমাহার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে পারেন কোথাও ফাঁক রাখছে না পুলিশ। যা দেখিয়ে নিহত প্রৌঢ়ের ছোট ছেলে রবিবার বিকালে বলছিলেন, ‘‘এখন পোস্টার লাগিয়ে পুলিশের ফোন নম্বর দিয়েছে।চারপাশে এত পুলিশ। সে দিন চার ঘণ্টা হামলা চলার সময়ে পাড়ার লোকের এত ডাকাডাকি শুনে পুলিশ এলে বাবা আর দাদাকে এ ভাবে হারাতে হত না!’’ দুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী এলে বলতে পারবেন এ কথা? তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করা যুবকের উত্তর, ‘‘চেষ্টা করব। জানাতে হবে তো কী হয়েছে আমাদের সঙ্গে। এই ক্ষতির কি পূরণ হয়!’’
নিহত বাবা-ছেলের পরিবারকে নিয়ে টানাটানি অবশ্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে। পুলিশ যখন নজরদারিতে ব্যস্ত, তারই মধ্যে স্বামীহারা দুই মহিলা চলে গিয়েছেন কলকাতায়। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত চেয়ে তাঁদের দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করানোর তোড়জোড় করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধাননগরের যে বাড়িতে দুই মহিলাকে রাখা হয়েছে, খবর পেয়ে এ দিন সেখানে ‘অপহরণের অভিযোগ’ নিয়ে হানা দিয়েছিল পুলিশ। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী, সজল ঘোষ, তরুণজ্যোতি তিওয়ারিদের বাধায় তাঁদের অবশ্য পুলিশ ওখান থেকে বার করতে