বিগ্রহ-বিতর্কে পুরী থানায় জোড়া অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা: দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ-বিতর্ক এ বার পুলিশে গড়াল। জোড়া অভিযোগ দায়ের হল পুরীর সিংহদ্বার থানায়। পাশাপাশি, সত্য উদ্ঘাটনে রবিবার জরুরি বৈঠকে বসল পুরীর মন্দির কমিটিও।
পুরীর মন্দিরের সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতি তথা রামকৃষ্ণ দাস পুরীর মন্দির থেকে নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে পবিত্র নিমকাঠ এনে দিঘার মন্দিরে জগন্নাথের বিগ্রহ নির্মাণ করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই মর্মেই রবিবার দয়িতাপতি পরিচালক সম্প্রদায়ের সম্পাদক রাজেশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন জয়ন্ত দাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি। অভিযোগে বলা হয়, মন্দির প্রশাসন কমিটির অনুমতি ছাড়া পবিত্র ‘দারু ব্রহ্ম’ দিঘায় নিয়ে যান রাজেশ। পরে ‘জগন্নাথ সেনা’ নামে সেখানকার এক সংগঠনের তরফেও অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। ‘দারু-ঘর’ (মন্দিরের যে অংশে বিগ্রহ নির্মাণের পরে অতিরিক্ত কাঠ রাখা থাকে) অডিটের দাবি তুলেছে তারা। প্রশ্ন তুলেছে মন্দির কমিটির ভূমিকা নিয়েও।
অভিযোগকারী সংগঠনের আহ্বায়ক প্রিয়দর্শন পট্টনায়ক বলেন, ‘‘মন্দির চত্বর থেকে পবিত্র কাঠ চুরি হয়ে গেল। তবু কেন মন্দির প্রশাসন থানায় লিখিত অভিযোগ করল না? সুরক্ষিত ঘর থেকে কাঠ চুরি গেল, অথচ যাঁদের হাতে চাবি থাকে, তাঁরা বুঝতেই পারলেন না। সবটা জানতে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’
২০১৫ সালে পুরীতে নতুন বিগ্রহ তৈরির (নব কলেবর) পরে অবশিষ্ট যে কাঠ রাখা ছিল, তা-ই দিঘায় এনে নতুন জগন্নাথ মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি দিঘার নতুন মন্দিরের সঙ্গে সরকারি ভাবে ধাম শব্দটি যুক্ত হওয়াতেও বিতর্ক বেধেছে। এই আবহেই রবিবার জরুরি বৈঠকে বসে পুরীর মন্দির কমিটি (শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। সকাল দশটা থেকে মন্দিরের প্রশাসনিক ভবনে সেই বৈঠকে মন্দির প্রশাসনিক কমিটির প্রধান অরবিন্দকুমার পাধি, দয়িতাপতি সম্প্রদায়ের সম্পাদক রাজেশ দয়িতাপতি-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রের খবর, ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে দয়িতাপতিদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। দিঘায় ‘দারু ব্রহ্ম’ স্থাপনের বিষয়টি নাকি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন রাজেশ। দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা