দিল্লির কৌশলে
সময়ে তা আরও কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। আইএসআই-এর সমর্থনপুষ্ট হক্কানি নেটওয়ার্ককে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। ইরানের সাহায্যে বালুচিস্তানেও এই একই কাজ করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান-তুরস্ক-মালয়েশিয়া যে অক্ষ তৈরি হয়েছে, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। হাজারা এবং আহমেদিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত সে দেশে অস্থিরতা তৈরি করে রেখেছে। কারণ না দেখিয়ে গ্রেফতার, অপরহরণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে পাক সেনা। চিনের উইঘুর মুসলিমদের মতোই এই সম্প্রদায়গুলির সঙ্গে কূটনৈতিক নৈকট্য তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে নয়াদিল্লির। প্রসঙ্গত, পহেলগাম কাণ্ডের পর উইঘুরের কাছ থেকে ভারতের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন বিবৃতিও এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট-বালটিস্তানে যে রাষ্ট্রবিরোধী স্বর শোনা যাচ্ছে তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সাউথ ব্লক। পাকিস্তানের পঞ্জাবি-গরিষ্ঠ সেনাবাহিনীর অভিজাততন্ত্রের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া এই অংশের ক্ষোভকে চাইলে কাজে লাগানো সম্ভব বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পঞ্চাশের দশকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের ভিত ভারতে গড়েছিলেন, সে কথাও এই প্রসঙ্গে উঠে আসছে।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের ভূমিকা আগামী দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্রের বিষয়টি এই মঞ্চে সবিস্তারে, বিশ্বাসযোগ্য ভাবে পর্যাপ্ত নথি-সহ তুলে ধরার চ্যালেঞ্জ সামনে। আর এই কাজে পাক-বন্ধু চিনকে কোনও ভাবে সঙ্গে রাখা বা প্রশমিত করে রাখা যায় কি না, তা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট পথে কাজ শুরু হয়েছে বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর।