অসুস্থ স্ত্রীর চাকরি নিয়ে চিন্তা
}} ৩১ ডিসেম্বরের পরে কী হবে, সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পূর্ব বর্ধমানের আমাদপুরের এক শিক্ষক দম্পতির। বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে সেই কথাই শনিবার জানালেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক প্রসেনজিৎ দাস। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী মৌমিতা হালদার বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানের একটি স্কুলে সংস্কৃতের শিক্ষক। ২০২২ সালে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন মৌমিতা। মাথার খুলি খুলতে হয় চিকিৎসকদের, এবং পরবর্তী কালে সেটিকে আবার জোড়া দিতে হয়। বর্তমানে সুস্থ হলেও পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ফিজিয়োথেরাপির পরে তিনি ফের শিক্ষকতায় যোগ দেন।’’ প্রসেনজিৎ জানান, মৌমিতাকে সুস্থ করে তুলতে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ব্যাঙ্কঋণ, জমি বিক্রি, আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার নিয়ে চলেছে চিকিৎসা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের পর মৌমিতার চাকরি না থাকলে কী ভাবে ঋণ মেটাবেন তাঁরা? চিকিৎসার খরচ আসবে কোথা থেকে? প্রশ্ন প্রসেনজিতের।
শিক্ষা ও স্বপ্ন
}} পূর্ব ভারতের জনপ্রিয় ভবিষ্যমুখী শিক্ষামেলা এডুকেশন ইন্টারফেস শনিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে। চলবে সোমবার পর্যন্ত। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, ডেটা সায়েন্স, আতিথেয়তা শিল্প, প্রচারমাধ্যম, পলিটেকনিক, আইটিআই-সহ নানা শিক্ষাক্রমের বিষয়ে দশম শ্রেণি থেকে স্নাতক স্তরের পড়ুয়ারা ভিড় করেন। সারা দেশের ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা এসেছেন বলে উদ্যোক্তাদের তরফে দীপক সিংহ রায় জানান। ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিষক্রিয়ায় মৃত্যু
}} বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাণপ্রস্থ বসুর (৩০)। বাড়ি জলট্যাঙ্কপাড়া এলাকায়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। শুক্রবার বাড়িতে বিষ খান তিনি। অন্য একটি ঘটনায় বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় কুলপির বাসিন্দা পঞ্চানন পুরকাইতের (৬৮)। বাড়ি ধানুমণ্ডল গ্রামে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খান তিনি। তাঁকে কুলপি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকে মৃত বলে জানান। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তে পাঠায়।
‘যৌন হেনস্থা’, ধৃত
}} সাত বছরের শিশুর যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। ধৃতের নাম মলয় সরকার। উত্তর ২৪ পরগনার জেলার ঘটনা। বৃহস্পতিবার শিশুর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবককে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতের পরিজনেরা অবশ্য দাবি করেছেন, ওই যুবককে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
ধর্ষণের নালিশ, ধৃত
}} ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রাইদুল ইসলাম উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। জেলারই একটি আদালতে গিয়ে রাইদুলের সঙ্গে পরিচয় হয় বছর পঁচিশের ওই মহিলার। তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। অভিযোগ, কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে গোপনে ভিডিয়ো করে রাখে রাইদুল। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে এসে পরেও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রাণে মারার হুমকি দেয়। ১৩ মে মহিলা থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে ধরেছে। শনিবার আদালতে তোলা হলে তার পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
ধৃত তিন দুষ্কৃতী
}} ডাকাতির চেষ্টা ভেস্তে দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করল তিন জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোপালচন্দ্র বিশ্বাস, সোমনাথ দাস ও রাজা শীল। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে হাবড়ার জিওলডাঙা এলাকায় ৭-৮ জন দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে তিন জনকে ধরে ফেলে। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়।