জুনের মধ্যে
পড়ে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে ফয়সালা করার আর্জি জানানো হয়েছে। আমরা তা করব। তবে সেই বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মচারীদের টাকার জন্য অন্তহীন অপেক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই।’ সুপ্রিম কোর্ট বকেয়ার ‘অন্তত’ ২৫ শতাংশ মেটাতে বলেছে। রাজ্য চাইলে তার বেশিও মেটাতে পারে। শীর্ষ আদালত বলে দিয়েছে, বকেয়ার ২৫ শতাংশ মেটানোর সঙ্গে মহার্ঘ ভাতার অধিকারের প্রশ্ন ও চূড়ান্ত রায়ের কোনও সম্পর্ক নেই।
অর্থ দফতরের কর্তাদের একাংশের যুক্তি, বাজেট বরাদ্দের পুরোটাই নানা খাতে ভাগ করা রয়েছে। তাই অন্য কিছু বরাদ্দের কাটছাঁট করার ভাবনাচিন্তা হতেই পারে। যেমন এ বছর লক্ষ্মীর ভান্ডার বা আবাস যোজনার টাকা জোগাতে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্পের বরাদ্দে কাটছাঁট করতে হয়েছে। ডিএ-বকেয়া দেওয়ার প্রশ্নে আর কোন খাত থেকে কাটছাঁট করা যাবে, তা নিয়ে চর্চা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহল আরও জানাচ্ছে, গত বছরও আর্থিক শৃঙ্খলা আইনের সীমার মধ্যেই ধার করেছে রাজ্য। বরং নির্ধারিত সীমার তুলনায় বেশ কিছুটা কম ধার করতে হয়েছে সরকারকে। প্রয়োজনে ডিএ-র বকেয়া মেটাতে ধার করতে পারে নবান্ন।
মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র এবং সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “সময় মতো ঠিক ভাবে ডিএ দেওয়া হলে এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া তৈরিই হত না।’’ মামলাকারী ও বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিএ নিয়ে ভিন্ন অবস্থান বজায় রেখেছিল। রাজ্যের অবস্থান ছিল, ডিএ সরকারের ইচ্ছানির্ভর। তাই কেন্দ্রীয় হারে দেওয়ার পরিবর্তে নিজেদের মতো করে ডিএ দিতে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বছরে এক বার করে নির্দিষ্ট একটি কিস্তির ডিএ দেওয়া কার্যত রীতিতে পরিণত হয়। যদিও দিল্লি, চেন্নাইয়ে এ রাজ্যের যে কর্মীরা কর্মরত রয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান। কর্মচারী সংগঠনগুলির প্রশ্ন, নিজেদের কর্মীদের ক্ষেত্রে দু’রকম নীতি কী ভাবে চালাতে পারে রাজ্য।