হাসিনার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদন
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে জুলাই-অগস্ট গণআন্দোলনে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগ। রবিরার সেই বিচারপ্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এই প্রথম হাসিনার বিরুদ্ধে কোনও মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল। বাংলাদেশের এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই মামলায় অপর দু’জন অভিযুক্ত হলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লা আল মামুন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দাখিলের পরে ‘পলাতক’ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। মামুন অবশ্য বর্তমানে জেলবন্দি। বিচারক মহম্মদ গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৬ জুন হাসিনা-সহ অভিযুক্ত তিন জনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে। আজকের দিনকে ‘দেশের ইতিহাসে কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জঙ্গি নেতা হাফিজ় সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। হাফিজ়ের দুই ঘনিষ্ঠ নেতা দাবি করেছেন, গত বছর বাংলাদেশে হাসিনা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে, তাঁদের সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। দায়ের হয় একাধিক মামলা। হাসিনা, আসাদুজ্জামান-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১২ মে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছিল ট্রাইব্যুনালে। গত ১২ মে এই মামলায় চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর চিফ প্রসিকিউটর সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই-অগস্ট আন্দোলনে নির্বিচারে এক হাজার ৪০০-র বেশি মানুষকে হত্যা করা