এসএসসি
জন্য আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে চাকরি পেয়েছেন আনুমানিক সাড়ে সতেরো হাজার। এ ক্ষেত্রে বাকি চার হাজারের মতো অপেক্ষমান হিসেবে রয়েছেন। বাকিরা পরীক্ষায় পাশ করেননি।
যাঁরা পাশ করেননি, তাঁদের অনেকেই দাবি করেছেন নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে পাশ করেননি। মতিউর বলেন,
‘‘আমাদের হিসেবে ২০১৬ সালের কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। এই চাকরিপ্রার্থীরা কেন বয়স পেরিয়ে যাওয়ার জন্য বসতে পারবেন না?’’
অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা আর এক চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরাই নন, ২০১২ সালের এসএসসির অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও ফের ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁরাও আর নতুন করে এসএসসিতে বসতে পারবেন না।’’ অভিষেক আরও জানিয়েছেন, ২০১২ সালের পরের নিয়ম হল স্কুলের শিক্ষকতা করতে গেলে বিএড করতে হবে। ২০১২ সালে অনেক পরীক্ষার্থীর বিএড
ছিল না। তাঁরা তখন তড়িঘড়ি
বিএড করেন।
এ রকমই এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘তখন সরকারি ও বেসরকারি মিলে বিএড কলেজ কম ছিল। বছরে ৫০ হাজার টাকা খরচে এক বেসরকারি বিএড কলেজে ভর্তি হয়ে পাশ করি। আবার ২০১৬ সালে পরীক্ষায় বসি। অপেক্ষমান তালিকায় আছি। এ বার নতুন নিয়মে বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় আমি বসতেই পারলাম না। এত টাকা দিয়ে বিএড করে কী লাভ হল? বিএড ডিগ্রি শিক্ষকতা ছাড়া আর অন্য কোনও পেশায় কাজেও লাগে না। আমি কি আর কোনওদিনই শিক্ষকতা করতে পারব না?’’
২০১৬ সালের বঞ্চিত পরীক্ষার্থীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মনে করেন, ‘‘যাঁদের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে তাঁদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। কারণ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে। তাই ২০১৬ সালে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের
সবারই ২০২৫ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত। সেখানে তো নতুন করে বয়স নিয়ে প্রশ্ন আসাই উচিত নয়।’’
বয়স পেরিয়ে যাওয়া এই সব বঞ্চিত এবং অপেক্ষমাণ চাকরিপ্রার্থীরা আদালতে মামলা করার
কথাই জানাচ্ছেন।
২০১৬ সালের সব পরীক্ষার্থীদের কেন বয়সের ছাড় দেওয়া হল না ? এর উত্তরে শিক্ষা দফতরের এক কর্তা শুধু বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারেই নতুন বিধি রচনা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের বাইরে আমরা কিছু করিনি।’’