জনগণনা শুরু
করবে কেন্দ্র, বিজ্ঞপ্তি ১৬ই
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ৪ জুন: অবশেষে নরেন্দ্র মোদী সরকার জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। ২০২১-এ যে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, সেই জনগণনা ২০২৭-এ শেষ করা হবে। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুন জনগণনার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। মোদী সরকারের আগের ঘোষণা অনুযায়ী, জনগণনার সঙ্গে চলবে
জাতগণনার কাজও।
সরকারি সূত্রের খবর, ১৬ জুন জনগণনার বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকেই জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। জনগণনার বাড়ির তালিকা তৈরি বা ‘হাউস লিস্টিং’-এর কাজ হবে ২০২৬-এর ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। তার পরে ২০২৭-এর ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত পর্বে জনসংখ্যা গোনা বা আক্ষরিক জনগণনার কাজ হবে। ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণনার কাজ আগামী ২০২৭ সালের ১ মার্চের মধ্যে সেরে
ফেলা হবে।
এই জনগণনার সিদ্ধান্ত একাধিক রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়েছে। পরিবর্তিত জনসংখ্যার ভিত্তিতে লোকসভার আসন পুনবির্ন্যাস করে লোকসভার মোট আসন বাড়ার কথা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩ থেকে বেড়ে ৮৮৮-র কাছাকাছি চলে যাবে। তার পরে মহিলা সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে। মোদী সরকার ইতিমধ্যে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বা লোকসভার সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করার দিকে পা বাড়িয়েছে। জাতগণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বর্তমানে যে সংরক্ষণ নীতি রয়েছে, তার ছবিও পাল্টানোর সম্ভাবনা পূর্ণ মাত্রায়।
২০২৭-এ জনগণনা হলে কি ২০২৯-এই যাবতীয় নতুন সমীকরণ মেনে লোকসভা নির্বাচন হবে? রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ ২০১১-র জনগণনার ফল ২০১৩-র এপ্রিল মাসে বেরিয়েছিল। সেই হিসেবে ২০২৭-এর জনগণনার ফল ২০২৯-এ প্রকাশিত হলে সেই বছর লোকসভা নির্বাচনে আসন পুনর্বিন্যাস, মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ সব কিছু হওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে এর যাবতীয় প্রভাব ২০৩৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা যাবে। আজ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘জনগণনার কাজে এত দেরি করার কোনও কারণই ছিল না। মোদী সরকার