বাস্তব ঘটনার আধারে থ্রিলার
মনীষা মুখোপাধ্যায়ের অন্তর্ধান রহস্যের আধারে ছবি তৈরি করতে চলেছেন অরিন্দম শীল
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকের একটি ঘটনা সে সময়ের রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় করে তুলেছিল। ১৯৯৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ামক মনীষা মুখোপাধ্যায়ের অন্তর্ধানের ঘটনার ছায়ায় সিনেমা তৈরি করছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তবে মূল ঘটনার সঙ্গে মিল খুব সামান্যই, জানালেন পরিচালক। দীপান্বিতা রায়ের ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’ উপন্যাস থেকেই তাঁর ছবি ‘কর্পূর’ তৈরি করছেন অরিন্দম। মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ব্রাত্য বসু, সাহেব চট্টোপাধ্যায়, অর্পণ ঘোষালকে। অরিন্দম নিজেও আছেন। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে রাজনীতিবিদ কুণাল ঘোষকে।
মনীষা মুখোপাধ্যায়ের অন্তর্ধানের সঙ্গে বাম আমলের রাজনৈতিক যোগের কথা শোনা যায়। এক দিন সকালে হঠাৎ শহরের বুক থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিস্তর খোঁজখবরের পরেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সেই রহস্যের আজ পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। অরিন্দম অনেক দিন পরে পরিচালনায় ফিরছেন। এমন বিতর্কিত বিষয় বাছলেন কেন? “এখানে কিন্তু কোনও বিতর্ক নেই। মূল বিষয়ের সঙ্গে আমার ছবির মিল ওই একটি জায়গাতেই। বাকি সবই কাল্পনিক,” বললেন অরিন্দম।
‘কর্পূর’-এ মনীষার চরিত্রে দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে, ছবিতে তাঁর নাম মৌসুমী সেন। তাঁর স্বামীর চরিত্রটি করছেন অরিন্দম। ঋতুপর্ণার মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে রুমকি চট্টোপাধ্যায়কে। ব্রাত্য করছেন পুলিশ অফিসারের চরিত্র। সাহেব ও কুণালকে দেখা যাবে রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায়। ‘৯৭ সালের সেই অন্তর্ধানের ঘটনার তদন্ত ২০১৯ সালে নতুন করে শুরু করে দুই সাংবাদিক। ছোট পর্দা ও নাটকের জগতের পরিচিত মুখ অর্পণ ঘোষাল রয়েছেন সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবিতে রাজনৈতিক উপাদান বেশি থাকবে, নাকি থ্রিলার? “এটা পুরোপুরি থ্রিলার। বাস্তব রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই, সবটাই আমরা নিজেদের মতো করে সাজিয়েছি,” ব্যাখ্যা করলেন অরিন্দম।
ছবিটির প্রযোজনায় ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং কাহাক স্টুডিয়োজ়। চিত্রনাট্য লিখেছেন শুভাশিস গুহ, সঙ্গীতের দায়িত্বে রথীজিৎ ভট্টাচার্য, ক্যামেরায় অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। জুলাই মাস থেকে ছবির শুটিং শুরু হবে।