সাফাইকর্মী
পরীক্ষার জন্য আসা দেহাংশ কাটাকুটি করে দিতেন তাঁরা। কী করে কাজ উতরোব বোঝা যাচ্ছে না।’’ ‘ডোম’ থেকে এই পদে কাজ পাওয়া এক জন বললেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। বিজ্ঞান অত জানি না, স্যরদের সে কথা বলেওছিলাম। কিন্তু স্যরেরা বলেছেন, শিখে নিতে হবে।’’ এমনই আর এক জনের মন্তব্য, ‘‘মাধ্যমিক পাশ করেছি তো! ঠিক সামলে নেব।’’
ল্যাব অ্যাটেন্ড্যান্টদের পরীক্ষার সময়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হাতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক তুলে দিতে হয়। পরীক্ষার উপকরণ এগিয়ে দেওয়া থেকে নমুনা রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ও তাঁদের দেখতে হয়। এক সায়েন্টিফিক অফিসারের মন্তব্য, ‘‘কোনও রাসায়নিক সম্পর্কেই ধারণা নেই যাঁদের, তাঁদের দিয়ে কী করে রাতারাতি বিজ্ঞান পড়িয়ে নেব জানি না। কেসের চাপে শিখিয়ে নেওয়ার সেই সময়ই বা কোথায়!’’
খুন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে তো বটেই, যে কোনও মামলার তদন্তে পুলিশের অন্যতম সহায়ক ফরেন্সিক রিপোর্ট। এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এই ভাবে নিয়মবহির্ভূত পথে নিয়োগে ক্ষুব্ধ স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির কর্মীদের বড় অংশ। প্রশ্ন উঠছে, যে ল্যাবের রিপোর্টের উপরে তদন্তের অনেক কিছু নির্ভর করে, সেখানে যথাযথ নমুনা পরীক্ষা হবে তো?