পতন হবে বুঝতে পারেননি ওবায়দুলরা
অনির্বাণ দাশগুপ্ত
মুহাম্মদ ইউনূস যে ভাবে দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যেই ভোট না করানোর বীজ নিহিত রয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। নিজের অস্থায়ী আস্তানায় রবিবার আনন্দবাজার পত্রিকার মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে যদি কখনও ক্ষমা চাইতে হয়, তা হলে দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলীয় নেতৃত্ব তা করবেন। তাঁর আশা, শেখ মুজিবুর রহমানের দলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। ‘ফিনিক্স পাখি’র মতো তাঁরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বমহিমায় ফিরবেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত কিছুটা মেনে নিলেও গুমঘর বা নির্বাচনের নামে প্রহসন প্রসঙ্গে সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন।
গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে পদ্মা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের বৈধতা বাতিল করেছে। ফলে নির্বাচনের ময়দানে আপাতত নেই শেখ হাসিনার দল। ইতিমধ্যেই ইউনূস ভোটের প্রাথমিক সময় ঘোষণা করেছেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ওবায়দুল। তাঁর কথায়, ‘‘এই দিনক্ষণ ঘোষণার মধ্যেই ভোট না-হওয়ার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে বলেই আমার ধারণা। যদি আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হয়, তা হলে দেশ-বিদেশ কোথাও তা গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্যও হবে না। আর নির্বাচন যদি জবরদস্তি করিয়েও নেয়, তা হলে বাংলাদেশের পার্লামেন্ট শুধু আওয়ামী লীগহীন হবে না, সেটা মুক্তিযোদ্ধাবিহীন পার্লামেন্ট হবে।’’
জুলাই-অগস্টের আন্দোলন যে সরকারের পতন ঘটাবে, তা তাঁরা প্রশাসনগত এবং দলগত ভাবে বুঝতেই পারেননি বলে মেনে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘‘ঠিক এমনটা হবে এটা আমরা ভাবতে পারিনি। প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোটা-