সিনে-কারবার টোপেই কি দুষ্কৃতী খপ্পরে
পারে, সেখানে রবিবার সকাল থেকে পুলিশ তল্লাশি চালায়। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে অভিযুক্তদের পরিবারের কয়েক জনকে সকালে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবক, তার মা ও বোন কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে এবং তাদের বিষয়ে আরও বিশদে খোঁজ নিতেই এই আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন কেন ওই তরুণীর উপরে এমন অকথ্য অত্যাচার করা হল।
তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি দিক নিয়েই এখন ধন্দে পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাসের মধ্যে অভিযোগকারী ওই তরুণী একবার অভিযুক্তদের সঙ্গে মানালি বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও কেন এমন অত্যাচার চালানো হল, তা তদন্তে দেখা হচ্ছে। সেই জন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা মূল লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা। তিনি আরও বলেন, “পাঁচ মাস মেয়েকে আটকে রাখা হলেও পরিবার কেন স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানায়নি, সেটাও তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তদন্তে আরও তথ্য পেতে এ দিন হাওড়া সিটি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। তরুণীর আত্মীয়েরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তির আগে সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা ছিল। তবে এখন শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা উন্নত হয়েছে। তবে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলা হয়নি বলেই এ দিন সন্ধ্যায় জানিয়েছেন ওই তরুণীর এক জন আত্মীয়।
এ দিন সকালে বাঁকড়ার ওই ফ্ল্যাটের সামনে স্থানীয়েরা ভিড় জমান। কেন পুলিশ এত দিন ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন তাঁরা। ভিড়ের মধ্যে থেকে এক যুবক হাতে একটি কাগজ তুলে দেখিয়ে বলতে থাকেন, “ওদের নানা গোলমেলে কাজের বিরুদ্ধে পুলিশকে আমরা চিঠি দিয়ে ছিলাম। উল্টে আমাদের বিরুদ্ধেই গাড়ি ভাঙচুরের মামলা দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলেই, পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করত।”