কলেজে ভর্তি
গত ৭ মে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোনও কলেজেই ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ফলে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা গভীর উদ্বেগে রয়েছে। ভর্তির নির্দিষ্ট সময়সূচি না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। অনেকেরই আশঙ্কা, এই ভাবে চললে প্রথম সিমেস্টারের ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই পরীক্ষার সময় এসে যাবে। সে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রস্তুতির সুযোগ না পাওয়ায় তাদের শিক্ষাগত ক্ষতি অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে। রাজ্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, অবিলম্বে কলেজে ভর্তির নির্দিষ্ট সময়সূচি প্রকাশ করে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যবস্থা করা হোক। এতে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চাপ কমবে এবং তারা সঠিক ভাবে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবে।
কাকলি বন্দ্যোপাধ্যায়
অশোকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
বেশি ভাড়া
কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে ট্যাক্সি পাওয়া এখন খুব কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি রাত সাড়ে আটটায় বিমানবন্দরে পৌঁছে আমি এবং আমার স্ত্রী গাড়ির খোঁজ করতে ‘যাত্রী সাথি’-র গুমটিতে যাই। একটি নাবালক সেখানে বসেছিল। সে জানায়, গুমটিতে কোনও গাড়ি নেই। উল্টে একটু দূরে দাঁড়ানো ট্যাক্সিতে বেশি টাকা দিয়ে চলে যেতে পরামর্শ দেয়। এক জন প্রবীণ নাগরিক হয়ে অসহায়ের মতো এ-দিক ও-দিক ছোটাছুটি করতে হয়। পরে বাধ্য হয়ে ৭৯০ টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে রাত সাড়ে দশটায় বাড়ি পৌঁছই। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। ওখানে একটি বেসরকারি সংস্থারও গুমটি আছে। তথৈবচ অবস্থা তারও। কিছু অসাধু লোকের জন্য এয়ারপোর্টে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়
উত্তরপাড়া, হুগলি
অন্য বিজ্ঞাপন
আজকাল টেলিভিশন চ্যানেলে ক্যানসার সরানো হয়, এ রকম কিছু নার্সিংহোম বা হাসপাতালের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এখানে দেখা যায় কোনও শিশুর মা বা তার বোন সেই নার্সিংহোম বা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন। ওই চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির তরফে বিজ্ঞাপনটা প্রচারমূলক হলেও, যাঁদের বাড়িতে প্রিয়জন এই মারণরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বা যাঁদের এই চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা নেই, তাঁদের মনে এই বিজ্ঞাপনগুলো কী প্রভাব ফেলে, এটা ভেবেই খারাপ লাগে। বিজ্ঞাপনগুলো কি অন্য কোনও ভাবে পেশ করা যায় না?
শৈবাল দাশগুপ্ত
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
আইন লঙ্ঘন
‘ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গে অনলাইনে জরিমানা নিয়ে উদ্বেগে বেসরকারি পরিবহণ শিল্প’ (১৯-৫) শীর্ষক খবরের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, এ ক্ষেত্রে বেসরকারি পরিবহণ শিল্পের মালিকদের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিকলস আইনে ধারা ২০০-তে এই কম্পাউন্ডিংয়ের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল দূরদূরান্তের গাড়ির ড্রাইভাররা ট্র্যাফিক আইনের ফাঁদে পড়লে সেই জায়গাতেই জরিমানা দিয়ে কেস থেকে তখনই নিষ্কৃতি পাবেন। উদ্দেশ্য মহৎ হলেও, তার ব্যবহারিক ফল তেতো হয়ে উঠল বেশির ভাগ পুলিশ কেসের জেরে। প্রথমত, কম্পাউন্ডিংয়ের কোনও সংজ্ঞা মোটর ভেহিকল আইনে নেই। দ্বিতীয়ত, ওয়েস্ট বেঙ্গল মোটর ভেহিকলস আইন, ১৯৮৯-এর ধারা ৩৪৯-এ পরিষ্কার বলা আছে যে কম্পাউন্ডিং অফিসার তিন কপি নোটিস তৈরি করবেন ও ড্রাইভার বা মালিককে এক কপি দেবেন। তাঁরা জরিমানা দিতে ইচ্ছুক বা রাজি হলে, ৭৫ পয়সা কোর্ট ফি স্ট্যাম্প দিয়ে আবেদন করবেন ইচ্ছুক বলে। তার পর অফিসার কেস ‘কম্পাউন্ড’ করবেন ও জরিমানা আদায় করবেন। মোটর ভেহিকলস ইনস্পেক্টররা এই বিধি মানলেও পুলিশের ক্ষেত্রে বিষয়টি খাটে না। ফলে একতরফা কেসের জন্য মালিকরা আজ উদ্বিগ্ন। মৌলিক অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে কোর্টে যাওয়ার অধিকার হরণ করতে কেউ পারেন না। এই প্রসঙ্গে জানাই যে, বিচার ব্যবস্থা পৃথকীকরণের আগে ‘মোবাইল কোর্ট’ চালু ছিল। কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। আদালত নির্দেশে বলেছিল, অভিযুক্তরা আইনের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। ফলে, এক তরফা মোবাইল কোর্ট বন্ধ হয়ে যায়। কেসের আইনগত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কাউকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। সরকারি আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুনীল রায়
কলকাতা-১০
রাস্তা মেরামত
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বাসিন্দা। কিছু দিন আগে আমাদের এলাকায় জল ও গ্যাসের পাইপ বসানোর কাজের জন্য অধিকাংশ রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ির ফলে ভীষণ খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কাজ শেষ হলেও পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও রকম মেরামতের উদ্যোগ করা হয়নি। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে কাদা, যানজট ও সম্ভাব্য দুর্ঘটনার জেরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের ব্যবস্থা করা হোক।
রানা ঘোষ দস্তিদার
কলকাতা-১৪৯
সাহায্য পাইনি
সম্প্রতি এক জন রোগীকে নিয়ে নিবেদিতা টোল প্লাজ়া হয়ে ফিরছিলাম। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সামনের একটি লরি পিছিয়ে এসে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। গাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়। কপাল-জোরে আমরা বেঁচে যাই। এই অবস্থায় ১০০ নম্বরে ফোন করে কোনও সাহায্য পাইনি। কোনও পুলিশও ছিল না। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোনও পুলিশ কেন থাকে না?
বন্যা চৌধুরী
শেওড়াফুলি, হুগলি