দলের কাছে ক্ষোভ কেষ্টর
পদে থাকা ডাক্তারের পক্ষে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে রোগী দেখা সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিতর্ক বাধে। সে সূত্রেই অনুগামীদের প্রশ্ন, “দাদার মেডিক্যাল রিপোর্ট বাইরে এল কী ভাবে!”
সূত্রের দাবি, কয়েক জন অনুব্রত-অনুগামী পুলিশ আধিকারিকদের কাছে সে ব্যাপারে জানতে চান। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ‘সদুত্তর’ দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতির পিছনে দলের অন্দরে বিরোধী গোষ্ঠীর কারও যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠেরা। কেষ্ট পুরো বিষয়টি ফোনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান। আগামী শনিবার, কলকাতায় কালীঘাটে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বৈঠকে আসার কথা কেষ্ট-সহ বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের। তার আগে কেষ্টর এই ক্ষোভ নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপের সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। জবাব মেলেনি মোবাইল-বার্তারও।
এ দিকে, বীরভূম জেলা তৃণমূলে কেষ্ট ও তাঁর বিরোধী শিবিরের দ্বন্দ্বও অব্যাহত। এ দিন সকালে কেষ্ট-বিরোধী গোষ্ঠীর এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিউড়ি ২ ব্লকের কেন্দুয়ার দেশালপুরে। দুপুরে নানুরের হারমুড় গ্রামে দু’জন ও বাসাপাড়ায় এক কেষ্ট-অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলের অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এমন ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রয়োজনে, দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।”