দুই দুর্ঘটনা, মৃত্যু দু’জনের
}} পর পর দু’টি পথ দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হল লিলুয়া এলাকায়। শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রথম ঘটনাটি ঘটে বেনারস রোড ও কিউ রোডের সংযোগস্থলে। তীব্র গতিতে আসা একটি মালবাহী গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন দীনেশ সাহানি (৪৭) নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। ঘটনার পরে রাতে বেনারস রোডে বেপরোয়া ভাবে লরি চলাচল নিয়ে পথ অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় পুলিশ থাকে না। শেষে র্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে অবরোধ তোলে। এই দুর্ঘটনার কিছু পরেই, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগস্থলে। রাস্তা পেরোনোর সময়ে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক ব্যক্তি। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার পরেই পালায় গাড়িটি।
গয়না চুরির চেষ্টা
}} ক্রেতা সেজে সোনার গয়না হাতানোর চেষ্টার অভিযোগে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম ঈশিকা চক্রবর্তী এবং সহেলি মাইতি। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে দক্ষিণ দমদমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পুরনো সোনাপট্টিতে একটি গয়নার দোকানে যান ওই দুই মহিলা। প্রথমে ছোটদের গয়না দেখতে চান তাঁরা। কিন্তু সেটি পছন্দ না হওয়ায় দোকানদারকে ভারী গয়না দেখাতে বলেন। তা-ও পছন্দ না হওয়ায় আরও গয়না দেখাতে থাকেন দোকানদার। তখন ফের ভারী গয়না দেখতে চান ঈশিকা ও সহেলি। সেই সময়ে বাক্স খুলতেই দোকানদারের সন্দেহ হয়। তিনি সিসি ক্যামেরায় দেখেন, এক মহিলা গয়না নিয়ে পোশাকের মধ্যে ঢুকিয়েছেন। তাঁকে গয়না ফেরত দিতে বলা হলে তিনি রাজি হননি। এই নিয়ে বচসা বাধে। তখন অভিযুক্ত এক মহিলা একটি আংটি এবং লকেট বার করেন। কিন্তু দোকানদার দাবি করেন, আরও একটি আংটি উধাও। এর পরে স্থানীয় এক মহিলাকে দিয়ে তল্লাশি করানো হলে দেখা যায়, একটি আংটি অভিযুক্ত এক মহিলা মুখের মধ্যে রেখে দিয়েছেন। এর পরেই খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে।
বৃদ্ধকে উদ্ধার
}} পথ হারানো বৃদ্ধকে উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বেহালার বাসিন্দা ৮০ বছরের ওই ব্যক্তি শনিবার সকালে নিউ ব্যারাকপুরের নেতাজি সুভাষ রোডে তাঁর এক অসুস্থ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ফেরার সময়ে পথ ভুলে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃদ্ধ না ফেরায় তাঁর বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে নিউ ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বরে এক বৃদ্ধকে রাত পর্যন্ত বসে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয়েরা। পুলিশ ওই বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে এসে কথা বললেও দীর্ঘক্ষণ ঠিকানা জানতে পারেনি। পরে ওই বৃদ্ধ তাঁর বেহালার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেন। নিউ ব্যারাকপুরে তাঁর বন্ধুর বাড়ির ঠিকানাও বলেন। রাতে বন্ধুর ছেলে থানায় এসে বৃদ্ধকে নিয়ে বেহালার বাড়িতে পৌঁছে দেন।