প্রতিবাদে সব দল, ‘রাস্তায় বাঁদরামো’
নয়, বললেন মন্ত্রী শশী
নিজস্ব সংবাদদাতা
দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হল রাজনীতি। ঘটনায় অভিযুক্ত এবং ধৃতদের মধ্যে এক জনের সঙ্গে শাসক দলের যোগ নিয়ে সরব হল বিরোধীরা। কসবা থানার সামনে বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির দফায় দফায় বিক্ষোভে ধুন্ধুমার বাধল। অভিযুক্তদের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরির চেষ্টায় সক্রিয় হয়ে শাসক দল আবার পাল্টা নিশানা করল বিরোধীদের।
দিনভর প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা শুক্রবার বলেছেন, “আমরা ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আছি। যারা এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের হাজতে পাঠানো হয়েছে। ন্যায্য বিচারের দাবি করছি।” একই সুরে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “আইনেই বিচার হবে। নয়তো এই জানোয়ারদের চামড়া তুলে নেওয়া উচিত!” সেই সঙ্গেই ৩০-৪০ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর দাবিও করেছেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফেও দাবি করা হয়েছে, মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এখন সংগঠনের পদাধিকারী ছিলেন না। কলেজের পরিচালন সমিতির সুপারিশে অভিযুক্ত যে চাকরি পেয়েছিলেন, তাতেও অন্যায় কিছু দেখছেন না তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “নিজের কলেজে চাকরির সুযোগ পাওয়া তো অন্যায় নয়।”
দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেও রাজনৈতিক চাপের মুখে পাল্টা