বঙ্গে বিজেপি সভাপতি: পর্যবেক্ষক রবিশঙ্কর
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি, ২৭ জুন: পশ্চিমবঙ্গের দলের সভাপতি নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ বাংলার সভাপতি চূড়ান্ত করতে নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হয়। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, আরও দুই রাজ্যের সভাপতি নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এর ফলে মাঝে বেশ কিছু দিন থেমে থাকার পরে যা জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে গতি দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের মতে, জুলাই মাসের মধ্যেই বর্তমান সভাপতি জে পি নড্ডার পরিবর্তে নতুন কোনও এক জনকে জাতীয় সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়ার পক্ষপাতী নরেন্দ্র মোদী-অমিশ শাহের দল।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বদলের জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু নতুন সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে
মূলত আরএসএসের সঙ্গে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মতপার্থক্যের কারণে ওই নির্বাচন থমকে যায়। এমনটাই সূত্রের খবর। তা ছাড়া, বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যে মিলিয়ে (৩৬) যত ক্ষণ অর্ধেকের বেশি (১৯ জন) রাজ্য সভাপতি বাছাই না হচ্ছে, তত ক্ষণ সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমানে দেশের ১৪টি রাজ্যে নতুন সভাপতি বেছে নিয়েছে বিজেপি। আজ পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে সভাপতি নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তিন রাজ্যে নির্বাচনী আধিকারিকের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন বিহারের সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। মহারাষ্ট্র ও উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও হর্ষ মলহোত্রকে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গত লোকসভা নির্বাচনের পরে তাঁকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও করে দল। বিজেপি যেহেতু এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে বিশ্বাসী, তাই সুকান্ত মন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তাঁর সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে আজ পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগের কথা জানিয়ে সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তবে পাটিগণিত বলছে, তিন রাজ্যে সভাপতি বেছে নেওয়ার পর আরও দুই রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন হলে, তবেই জাতীয় সভাপতি নির্বাচন সম্ভব। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী ধাপে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গনার মতো রাজ্যগুলিতে সভাপতি বেছে নেওয়ার পক্ষপাতী দল। সূত্রের মতে, আগামী মাসের মাঝামাঝি অন্তত ২০টি রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলার পক্ষপাতী দল। যাতে জুলাই শেষ হওয়ার আগেই নতুন সভাপতি পায় দল।