করাচির রাস্তা স্যর ক্রিক হয়েই যায়: রাজনাথ
আমদাবাদ, ২ অক্টোবর: পড়শি দেশের আর একটি মাত্র ‘ভুল পদক্ষেপ’ বদলে দিতে পারে এলাকার ইতিহাস। এমনকি দু’দেশের ভৌগোলিক সীমারেখাও। বৃহস্পতিবার গুজরাতের ‘ভূজ মিলিটারি স্টেশন’-এ আয়োজিত ‘অস্ত্র পুজো’র এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাকিস্তানকে এমনই বার্তা দিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ সিংহ।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই গুজরাত উপকূল এলাকায় অবস্থিত ‘স্যর ক্রিক’ সীমারেখার ওপারে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তরফে বিভিন্ন পরিকাঠামো তথা ভবন তৈরির অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানের উদ্দেশে এমন বার্তা দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও স্যর ক্রিক এলাকার সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ রয়েই গিয়েছে। ভারতের তরফে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে একাধিকবার উদ্যোগ করা হলেও, পাকিস্তানের তরফে সেই উদ্যোগে খামতি দেখা গিয়েছে। তারা ঠিক কী চায়, তা এতদিন আমাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় সে দেশের সেনার পরিকাঠামো নির্মাণ থেকেই পুরো বিষয়টা আন্দাজ করা যায়।’’
প্রসঙ্গত, কচ্ছের রণ বরাবর প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানা রেখাকেই বলা হয় স্যর ক্রিক। সেই রেখার এ দিকে গুজরাত এবং অন্য দিকে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ। অভিযোগ, নিজেদের দিকে এই সীমানা সংলগ্ন এলাকাতেই একাধিক সামরিক পরিকাঠামো এবং ভবন তৈরি করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। জায়গাটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায়, এলাকাটিতে যৌথ ভাবে নজরদারি চালায় ভারতীয় সেনা এবং বিএসএফ। বিষয়টি নিয়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘ওই এলাকায় পাকিস্তানের তরফে একটি ভুল পদক্ষেপ করা হলে, তার যথাযথ উত্তর দেওয়া হবে। যা হয়তো এলাকায় ইতিহাস এবং ভৌগোলিক মানচিত্রকেও বদলে দেবে।’’ এই প্রসঙ্গে রাজনাথ আরও জুড়ছেন, ‘‘পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত, ওই স্যর ক্রিক এলাকা থেকে একটি রাস্তা করাচি পর্যন্ত যায়। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধেই ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের লাহোরে পৌঁছে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিল। আর এটা তো
২০২৫ সাল!’’
সংবাদ সংস্থা