রাতে ঘরে মৃত্যু মহিলার, খুনে অভিযুক্ত স্বামী
  
      নিজস্ব সংবাদদাতা
  
  গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বাবা। মা শুয়ে আছেন বিছানায়। কিন্তু ছেলের ডাকাডাকিতে সাড়া দিচ্ছেন না। অনেক ডাকার পরেও তাঁর সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নাগেরবাজার থানার ছাতাকল এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বিউটি বসু (৩২)।
ঘটনার পর থেকে মৃতার স্বামী অমিত বসুর খোঁজ মিলছে না। বিউটির পরিবারের পক্ষ থেকে অমিতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার পরিবারের দাবি, বিউটির দশ বছরের ছেলের বক্তব্য শুনে তাদের ধারণা, অমিতই খুন করেছেন স্ত্রীকে। পুলিশ আপাতত একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অমিতের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই বধূ একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। অমিত পেশায় অ্যাপ-বাইকের চালক। ওই দম্পতির এক ছেলে রয়েছে। পুলিশ জেনেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হচ্ছিল। সেই তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। মৃতার এক আত্মীয় তাপস হালদার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা ঘটনার কথা জানতে পারেন। মধ্যমগ্রাম থেকে দমদমে এসে তাঁরা ওই বালকের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, অমিত ও বিউটি একই বাড়িতে আলাদা ঘরে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই অমিত জানান, তিনি ছেলে ও স্ত্রীর সঙ্গে এক ঘরে থাকবেন। তাপসের দাবি, ওই বালক তাঁদের জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সে বিছানায় পাশ ফিরে দেখে, সেখানে মা নেই। অমিত তাঁকে জানান, মা শৌচাগারে গিয়েছেন। কিছু ক্ষণ পরে ফের পাশ ফিরে মাকে শোয়া অবস্থায় দেখে ছেলে। এর পরে রাত ৩টে নাগাদ মানিব্যাগ থেকে এটিএম কার্ড ও অন্যান্য সামগ্রী বার করে অমিত বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। 
পুলিশ জানায়, দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ। তবে, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই বধূর।