মহিলা চিকিৎসকের
অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ধন্দ
নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক: এক মহিলা চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোরগোল পড়েছে তমলুকে। শালিনী দাস (৩১) নামে ওই চিকিৎসককে শুক্রবার সকালে শহরের শালগেছিয়ায় ভাড়াবাড়ির শৌচাগার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তখন তাঁর হাতে ‘চ্যানেল’ করা ছিল। পরে তমলুক মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আদতে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা শালিনী অ্যানাস্থেটিস্ট হিসেবে বছর তিনেক আগে তমলুক হাসপাতালে যোগ দেন। কয়েক মাস আগে, তিনি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে বদলি হন। তমলুকে একাধিক নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। শালগেছিয়ায় ভাড়াবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। বাড়িতে থাকতেন এক পরিচারিকাও। শালিনীর বাবা অন্যত্র থাকেন।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালে বাড়িতে অসুস্থ হন শালিনী। পেট খারাপ এবং বমির উপসর্গ ছিল। পরে, তিনি তমলুক শহরে এক নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে যান। সেখানে তাঁকে ওষুধ ও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। পরে, তিনি নার্সিংহোমে একটি অস্ত্রোপচারে অ্যানাস্থেটিস্টের দায়িত্বও পালন করেন। বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন শালিনী। জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরেই শৌচাগারে যান তিনি। পরিচারিকার কাছে পোশাক চান। কিন্তু পরিচারিকা গিয়ে দেখেন, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন ওই মহিলা ডাক্তার। স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে কাছেই এক নার্সিংহোমে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তমলুক মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘ময়না-তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট না পেলে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।’’
এসডিপিও (তমলুক) আফজল আবরার বলেন, ‘‘সব দিক দেখা হচ্ছে।’’ তদন্তকারীরা এ দিন মৃতের মা ও পরিচারিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে মাস তিনেক আগে শালিনীর মা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তিনি এখনও অসুস্থ। ফলে, তিনি বিশেষ কিছু বলতে পারেননি বলে খবর। শালিনী সকালে যে নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ।