দু’বার ফোন মমতার, আশ্বস্ত পূর্ণমের স্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা
রিষড়া: সংঘর্ষ-বিরতি হয়েছে। কিন্তু পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ান, রিষড়ার পূর্ণমকুমার সাউ রবিবারেও মুক্তি পাননি। উদ্বেগে থাকা তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনীকে এ দিন দু’বার ফোন করে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, বিএসএফের থেকে খোঁজ নিয়ে পূর্ণম সুস্থ আছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানানোয় কিছুটা ভরসাও পেয়েছেন রজনী। দিন কয়েক ধরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন।
রবিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী রজনীকে সরাসরি ফোন করে পরিবারের পরিস্থিতি জানতে চান। রজনী জানান, স্বামী প্রতি মাসে সংসার খরচের টাকা পাঠান। বন্দি থাকায় এ মাসে পারেননি। স্বামীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকেছে কি না, তা-ও তাঁরা বুঝতে পারছেন না। শ্বশুর-শাশুড়ি দু’জনেই অসুস্থ। ভাসুর টোটো চালান। সংসার কোনও রকমে চলছে। স্বামী ১৯ দিন বন্দি। মুখ্যমন্ত্রী যেন তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হন।
রজনী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দু’বার ফোন করেছিলেন। প্রথম বার আমাদের অবস্থার খোঁজ নেন। ফের ফোন করে জানান, বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্বামী সুস্থ আছেন। কাল (সোমবার) মিটিং আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ভরসা পেয়েছি। রাজ্যের তরফে যদি কথা বলা হয়, সেটা নিশ্চয়ই আশার ব্যাপার।’’
প্রথমে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চানতে চান, পূর্ণম না ফেরা পর্যন্ত রজনী কাছাকাছি কোনও কাজ করতে পারবেন কি না। রজনী জানান, তিনি স্নাতক। এক সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। এখন অন্তঃসত্ত্বা। তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেও রয়েছে। এ কথা শুনে তাঁর কাজ করার মতো অবস্থা নেই বুঝে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানান, পূর্ণমের মুক্তির ব্যাপারে পুলিশের মাধ্যমে তিনি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
রজনীকে মমতা এ-ও বলেন, শ্বশুর-শাশুড়ির চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাঁরা যেন রিষড়ার পুরপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানাতে পারেন। সন্ধ্যায় পূর্ণমের বাড়িতে যান রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার পরেই পূর্ণমের মুক্তির ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা বলেছিলেন কল্যাণ। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেন।
এ দিন কল্যাণ বলেন, ‘‘শুরু থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পরিবারটির পাশে আছেন। সব দিকেই নজর রেখেছেন।’’