বিকল এয়ার ডিফেন্স,
ধ্বংস পাক রানওয়েও
নয়াদিল্লি, ১১ মে: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের অভিযানটি সব থেকে কৌশলী ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের। অন্য দিকে, পাকিস্তানের হামলার জবাবে ভারত যে ১১টি বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নুর খান বিমানঘাঁটি। সমাজমাধ্যমে কিছু উপগ্রহচিত্র দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, ওই বিমানঘাঁটির যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ সংবাদ বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফে বলা হয়, পাকিস্তানের পাসুর, চুনিয়ান, আরিফওয়ালা ঘাঁটির এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা বিকল করে দেওয়া হয়েছে। সারগোদা, রহিম ইয়ার খান, চাকলালা (নুর খান), শুকুর এবং ভোলারি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রানওয়ে। এ ছাড়া জ়াকোকাবাদে অ্যানম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি) রাখার হ্যাঙ্গারও ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। লাহোর ও গুরজানওয়ালার রেডারগুলি বিকল করা হয়েছে।
সেনার তরফে আজ আরও বলা হয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মৃত তাবড় জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে ইউসুফ আজ়হার, আব্দুল মালিক রউফ এবং মুদসসির আহমদ। এই তিন জন ২০১৯ সালের পুলওয়ামায় হামলা এবং ১৯৯৯ সালে কন্দহর আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণে জড়িত ছিল। জইশ জঙ্গি মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রউফ সত্যিই মারা গিয়েছে কি না, সে নিয়ে কিছু সংশয় ছড়িয়েছিল সম্প্রতি। বাহাওয়ালপুরের মার্কাজ় শুভান আল্লা শিবির জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের ওই শিবিরে গত ৬ মে ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালায় ভারতীয় সেনা। মাসুদ নিজেই দাবি করেছিল, ওই হানায় তার পরিবারের দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা তার দিদি-জামাইবাবু, ভাগ্নে-ভাগ্নেবৌ ও তাদের তিন সন্তান, ভাগ্নি, এক তুতো ভাই ও তার মা। সেই তালিকায় আব্দুল রউফ আজহারের নাম ছিল না। আজ সেনার সাংবাদিক সম্মেলনের পরে এ বিষয়ে আর সংশয় রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
নুর খান বিমানঘাঁটির বলে দাবি করে কিছু উপগ্রহচিত্র ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। দাবি করা হয়েছে, চিনের একটি উপগ্রহ সংস্থা থেকে তা মিলেছে। ওই বিমানঘাঁটি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে সাকুল্যে ১০ কিলোমিটার দূরে। কৌশলগত, অবস্থান ও পরিকাঠামোর দিক থেকে সেটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের দুবাই রওনা করানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়ার কিছু সংবাদমাধ্যম।
সংবাদ সংস্থা