তালিকায় বিভ্রান্তি, নতুন ভোগান্তি ‘যোগ্যদের’
নিজস্ব প্রতিবেদন
চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে যাঁরা ‘অযোগ্য’ বলে প্রমাণ মেলেনি, তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশন
মারফত শিক্ষা দফতরের তরফে সেই মতো একটি শিক্ষক-তালিকা তৈরি করে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের পাঠানোও হয়। সেই শিক্ষক-তালিকায় রয়েছেন ১৫৪০৩ জন। কিন্তু এসএসসি-র ওয়েবসাইটে
এই তালিকার অনেকের নাম ঠিক ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি বলে দেখা যাচ্ছে। ফলে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক থেকে কোনও কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ— সর্বত্র চরম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐক্য মঞ্চ’-এর অন্যতম প্রধান মুখ
চিন্ময় মণ্ডলের নামই এসএসসি-র পোর্টালে ‘নন জয়েনিং’ বলে লেখা আছে। বৃহস্পতিবার চিন্ময় বলেন, ‘‘কী আশ্চর্য! ছ’বছর আগে স্কুলে
যোগ দিয়েছি, মাইনে পাচ্ছি, অথচ আমার নামই নন-জয়েনিং! এটা এসএসসি-র পোর্টালের ভুল। তবে সমস্যা মিটে যাবে বলে এসএসসি চেয়ারম্যান আমায় আশ্বাস দিয়েছেন।’’ চিন্ময়ের দাবি, তাঁদের ঐক্য মঞ্চের অন্তত ১৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম তালিকায় থাকা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এসএসসি সূত্রে অবশ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষক-তালিকা সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
এসএসসি-র ওয়েবসাইটে ২০১৬-র শিক্ষক তালিকায় নিয়োগের এত বছর বাদেও সব নাম যথাযথ ভাবে লেখা নেই। অনেকের বদলি সংক্রান্ত তথ্যও ঠিক ভাবে ওয়েবসাইটে তোলা হয়নি বলে দাবি। আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের অভিযোগ, এর ফলে তাঁদের সম্মানহানি হচ্ছে। চিন্ময় বলেন, ‘‘আমাদের ঐক্য মঞ্চের দাবি, এসএসসি সবার জন্য অভিযোগ জানাতে একটি ইমেল আইডি এবং হেল্পলাইন বার করুক। তাতে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষকেরই সুবিধা হবে।’’
বিভিন্ন স্কুল এবং শিক্ষকদের সমস্যার নানা ছবি সামনে আসছে। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কুলডিহা সারদাময়ী এসসি হাই স্কুলে ২০১৬ সালের প্যানেলের কোনও শিক্ষকই নেই। প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মাইতি হতবাক, ‘‘বাংলার শিক্ষক সাব্বির আহমেদের নাম এসেছে। অথচ স্কুলে ওই নামে কোনও
শিক্ষকই নেই।’’ সুরাইয়া বেগম মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলে পড়ান। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের (বালক) শিক্ষিকা হিসেবে তাঁর নাম ‘যোগ্য’দের তালিকাভুক্ত হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের তালিকায় এমন বেশ কয়েকটি বিভ্রান্তির নজির সামনে এসেছে। সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শক
বিষয়টি উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে
জানাবেন বলছেন।