ঘরের মাঠে অবশেষে জয় বিরাটদের
নিজস্ব প্রতিবেদন
২৪ এপ্রিল: অবশেষে চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি দুরন্ত ব্যাট করলেন। অসাধারণ ১৯তম ওভার করলেন জশ হেজ়লউড। আরসিবি-র করা ২০৫ রানের জবাবে রাজস্থান থামল ১৯৪ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে শেষ দু’ ওভারে ১৮ রান প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। কিন্তু ১৯তম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে দু’উইকেট তুলে নেন হেজ়লউড। ম্যাচ ওখানেই ঘুরে যায়। এ বারের আইপিএলে ঘরের মাঠে আগের তিনটে ম্যাচে হারার পরে অবশেষে চিন্নাস্বামীতে জিতল আরসিবি। ৯ ম্যাচ খেলে বিরাটদের পয়েন্ট এখন ১২।
বৃহস্পতিবারের আগে আটটা ম্যাচ খেলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বাইরে খেলা পাঁচটা ম্যাচ জিতলেও ঘরের মাঠে তিনটে ম্যাচেই হারতে হয়েছিল আরসিবিকে। এ দিন ফিল সল্ট আউট হওয়ার পরে ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নিতে নেন বিরাট। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইনিংস খেলেন তিনি। ঝুঁকি না নিয়েও রানরেট বাড়িয়ে গিয়েছেন। উল্টো দিকে, দেবদত্ত পাড়িকলও আগ্রাসী ইনিংস খেলে যান। দু’জনের জুটিতে উঠে যায় ৯৫ রান। বিরাট করেন ৪২ বলে ৭০ রান। মারেন আটটা চার, দু’টো ছয়। পাড়িকলের ৫০ রান এসেছে ২৭ বলে। এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মেরেছেন চারটে চার, তিনটে ছয়।
ম্যাচের পরে বিরাট বলেন, ‘‘এই মাঠে তিনটে ম্যাচে ভাল খেলতে পারিনি। যে কারণে এ দিন মাঠে নামার আগে ব্যাটিং নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই মতো নিজেদের প্রয়োগ করি।’’ এই নিয়ে এ বারের আইপিএলে পঞ্চম অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন বিরাট। তাঁর কথায়, ‘‘পিচ কিন্তু মোটেই নিষ্প্রাণ ছিল না। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়ায় বল ভাল ব্যাটে আসতে শুরু করে।’’ ইনিংসের মাঝে পাড়িকলও বলছিলেন, ‘‘উইকেটে ব্যাট করা খুব সহজ ছিল না। আমরা একটা পরিকল্পনা করে ব্যাট করতে নেমেছিলাম।’’ যোগ করেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে আমি অনেক পরিশ্রম করছি, কিন্তু সে ভাবে ফল পাচ্ছিলাম না। নিজের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মানসিকতাকেও শক্তিশালী করতে চেয়েছি।’’
রান তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাটিং শুরু করেন রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার— যশস্বী জয়সওয়াল এবং বৈভব সূর্যবংশী। দু’টো ছয় মেরে ১৬ রান করে ১৪ বছরের বৈভব ফিরে গেলেও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যান যশস্বী। তিনি করেন ১৯ বলে ৪৯। মারেন সাতটি চার, তিনটি ছয়।
উচ্ছ্বাস: রাজস্থানকে হারানোর পরে হেজ়লউড, বিরাটরা। পিটিআই