নিগৃহীত সাংবাদিক
}} জম্মুর কাঠুয়ায় পহেলগামের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে নিরাপত্তার গলদ নিয়ে প্রশ্ন করায় প্রহৃত হয়েছেন এক সাংবাদিক। আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতিবাদীদের মধ্যে বিজেপি কর্মীরা যেমন ছিলেন, ছিলেন একাধিক বিজেপি বিধায়কও। প্রশ্ন করা মাত্রই তাঁরা সাংবাদিক রাকেশ শর্মাকে হুমকির সুরে বলতে থাকেন, তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুরে কথা বলছেন। এর পরেই তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়।
জঙ্গিরা শোনেনি
}} ‘আমার তিন বছরের বাচ্চা আছে। আমাকে ছেড়ে দিন’, সকাতরে বলেছিলেন ভারত ভূষণ। ৩৫ বছরের ভারতের সেই আকুতি জঙ্গিরা শোনেনি। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ১৮ই এপ্রিল কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। শেষ গন্তব্য ছিল পহেলগাম। সেখান থেকে ঘোড়ার চড়ে বৈসরনে গিয়ে ছবি তুলে, স্থানীয় পোশাক পরে আনন্দ করছিলেন ওঁরা। তার মধ্যেই গুলির শব্দ। চোখের সামনে দু’জনকে মরতে দেখলেন। তার পর সন্তানের কথা বলে শেষ আর্জি জানিয়েছিলেন। লাভ হয়নি। বেঙ্গালুরুতে ফিরে নিহত ভারতের স্ত্রী সুজাতা জানিয়েছেন এ কথা।
মালেগাঁও মামলায়
}} মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ও আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ১৬ নম্বর ধারায় সাজার আর্জি জানাল এনআইএ। ওই ধারা বলছে, জঙ্গি হানায় কারও মৃত্যু হলে তার সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন জেল। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ের
একটি ধর্মস্থানের কাছে মোটরবাইক বিস্ফোরণে ৬ জন মারা যান, আহত হন শতাধিক মানুষ। প্রজ্ঞা, কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত-সহ সাত জন এই হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে অভিযোগ। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত শুনানি শেষে ৮ মে
পর্যন্ত রায় স্থগিত রেখেছে।
নেত্রীর ছেলে
}} মেঘালয়ের শিলংয়ে গাড়ির ধাক্কায় চার জনকে জখম করে পালানো প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। ১৭ এপ্রিল ধানখেতি এলাকায় বাওরি ম্যানশনের কাছে একটি গাড়ি দুটি স্কুটারকে ধাক্কা দিয়ে পালায়। জখম হন চার জন। পরে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটির মালকিন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী দেবোরা মারাক। সেই মতো তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, ঘটনার সময় দেবোরার ছেলে রুচিরা মারাক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। পুলিশের চাপে লাইতুমরা থানায় আত্মসমর্পণ করেন রুচিরা। পরে জামিনও পেয়েছেন তিনি।
সহযোগীকে হুমকি
}} অসমে উত্তর কাছাড় স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য দেবোলাল গারলোসার বিরুদ্ধে বন্দুক উঁচিয়ে খুনের হুমকির অভিযোগ জানালেন তাঁরই সহযোগী দেবজিৎ বাটারি। পরিষদের কার্যবাহী সদস্য বাটারি বলেন, দেবোলাল তাঁর আবাসনে গিয়ে তখনই ঘর ছাড়তে বলেন। তিনি কিছু বলার চেষ্টা করতেই দেবোলাল তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। বাটারি বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।
সরব কংগ্রেস
}} ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি না মেনেই বাংলাদেশ বাঁধ নির্মান করছে বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কোন সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। তিনি ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া এবং ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের এই কার্যকলাপের স্থায়ী সমাধানের জন্য মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।
গ্রেফতার নেতা
}} আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া এক নির্দল প্রার্থীকে ভোটের এক সপ্তাহ আগে মাদক পাচারে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অসমের শ্রীভূমি জেলার পাথারকান্দিতে অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাদক ট্যাবলেট-সহ সজরুল হক তাপাদার নামে ওই নির্দল প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে।