অতিরিক্ত পদ নিয়ে
রাজ্যের অবস্থান তলব
নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজ্যের স্কুলশিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগে অতিরিক্ত পদ (সুপার নিউমেরারি) নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুক্রবার মামলার শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘কোনও মৌখিক প্রতিশ্রুতি শুনতে চাইনা। হলফনামাও চাই না। আবেদন করে জানান। আমি এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’ এ দিন মূলত কর্মশিক্ষার মামলার শুনানি ছিল। আগামী ৬ মে পরবর্তী শুনানিতে কর্মশিক্ষার পাশাপাশি শারীরশিক্ষার মামলাও একসঙ্গে শুনানি হবে
বলে আদালত।
এ দিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সম্পর্কে জানতে চান বিচারপতি বসু। তার প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দোপাধ্যায় জানান, মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বাতিল করলেও অতিরিক্ত পদ নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। রাজ্যের কাছে বিচারপতি জানতে চান, অতিরিক্ত পদ কেন তৈরি করা হয়েছে? তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রাজ্য কি এই মুহূর্তে চাকরি দিতে প্রস্তুত?’’ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, স্থগিতাদেশ বাতিল হলে নিয়োগের বিবেচনা করবে রাজ্য।
এ দিন হাই কোর্ট চত্বরে চাকরিহারাদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। প্রথমে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মূল আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। পরে কিরণশঙ্কর রোডে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরদৌস শামিমের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযোগ, ওই আইনজীবীদের উদ্দেশে গালাগালি করা হয়েছে এবং জুতো ছুড়তেও দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের কয়েক জনকে। সুদীপ্ত বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের আচরণ দেখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছিলাম। পুলিশকে জানালেও সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য মেলেনি।’’ ফিরদৌস বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে। তার পরেও এই ধরনের বিক্ষোভ এবং বৈধতার দাবি প্রমাণ করে যে রাজ্যে বেআইনি কাজকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার মদত দেওয়া হচ্ছে।’’