প্রয়োজন সামরিক অভিযান, মন্তব্য অরূপের
কলকাতা, ২৫ এপ্রিল: পহেলগামে হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা। তাঁর মতে, পরমাণু শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথাগত সংঘাত হতে পারে না, এই ধারণা উরি ও পুলওয়ামা হামলার পরে ভারত ভেঙে দিয়েছে।
কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও পুলওয়ামায় হানার পরে বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের কথা উল্লেখ করেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান। তাঁর মতে, ‘‘আমরা অতীতে সন্ত্রাসে মদতদাতাদের উচিত শাস্তি দিয়েছি। ফের এই ধরনের অভিযান করা উচিত। তা হলে আমাদের শত্রুরা বুঝতে পারবে, কাদের সঙ্গে তারা লড়াই করছে। এখন সেটাই প্রয়োজন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কখন, কী ভাবে ওই অভিযান হবে, তা আমি এখন আর বলতে পারব না। তবে পাক সেনার আর কোনও লজ্জা নেই।’’
অরূপের কথায়, ‘‘১৯৭১ সালের যুদ্ধের পরে ৯৩ হাজার পাক সেনা যুদ্ধবন্দি হয়েছিলেন। সেটা ওই দেশের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় ছিল। এখন ওই দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি গোলমেলে। ভিক্ষাপাত্র নিয়ে তারা কার্যত যে দেশ সাহায্য করতে পারে তাদের দরজাতেই যাচ্ছে। আর এই সময়ে পাক সেনা এই ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপের মাধ্যমে পুনর্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে।’’
অরূপের মতে, জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য একান্ত প্রয়োজন। সে জন্য উপগ্রহ চিত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। আবার চরদের মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। কারণ, প্রযুক্তির মাধ্যমে পাওয়া তথ্যকে চরদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলিযে দেখলে তবেই নিশ্চিত হওয়া যায়।
অরূপের কথায়, ‘‘একমাত্র নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যই এমন হামলা ঠেকাতে পারে। গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্যই আমরা অতীতে ধাক্কা খেয়েছি। এখনও ধাক্কা খাচ্ছি।’’
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানের মতে, ‘মৌলবাদী শক্তি’র মোকাবিলায় কূটনৈতিক ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কড়া সামরিক পদক্ষেপও প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত সরকার যে ব্যবস্থাগুলি নিয়েছে সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ। তাতে পাকিস্তান ধাক্কাও খেয়েছে। কিন্তু তা পাক মদতে পুষ্ট সন্ত্রাসকে নতজানু করার পক্ষে যথেষ্ট না-ও হতে পারে।’’ সংবাদ সংস্থা