লস্কর যুক্ত মাদক পাচারেও: এনআইএ
নয়াদিল্লি, ২৫ এপ্রিল: আরও বড় পরিকল্পনা ছিল লস্কর-ই-তইবার। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমনই দাবি করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
শীর্ষ আদালতের কাছে এনআইএ জানিয়েছে, কাশ্মীরের পহেলগামে লস্করের হামলার সঙ্গে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে মাদক উদ্ধারের যোগ রয়েছে। আর এই মাদক পাচারে মদত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এনআইএ আরও জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির উদ্দেশ্য ছিল মাদক বিক্রি করে আরও বড় হামলার জন্য অর্থের বন্দোবস্ত করা। সেই সঙ্গে ভারতের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদক বিলি করা।
মুন্দ্রা বন্দর থেকে সম্প্রতি তিন হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়। যার মূল্য প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চের সামনে এনআইএ জানিয়েছে, এই মাদক পাচারের ঘটনায় লস্করের হাত রয়েছে।
এনআইএ আদালতে জানিয়েছে যে, আফগানিস্তান থেকে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল ওই হেরোইন। দেখানো হয়েছিল, প্যাকেটের ভিতরে ট্যালকম পাউডার রয়েছে। সেই সঙ্গে বৈধ কাগজপত্রও পেশ করা হয়েছিল। হলফনামায় জানানো হয়েছে, ইরানি মধ্যস্থতাকারী মারফত ভারতে ঢুকেছিল ওই মাদক। দিল্লির নেব সরাই ও আলিপুরের গুদামঘরে মজুত করা হয়েছিল সেই হেরোইন।
মাদক বিক্রি করে যে টাকা উঠত, তা সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে ব্যবহার করা হত বলে আদালতে জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিষয়টি শুনে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বলেন, “দেখুন ওরা ভারতের পহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের কী ভাবে হত্যা করেছে।”
সংবাদ সংস্থা