বৈদ্যুতিকে ভর করে দূষণ দূর, কর্মসংস্থান
নয়াদিল্লি, ২৫ এপ্রিল: দেশে ১০ লক্ষের কম জনসংখ্যার ৪৪টি শহরে যদি ১৫ বছরের বেশি পুরনো সমস্ত গাড়িকে বৈদ্যুতিকে বদলে ফেলা যায়, তা হলে ১০ বছরের মধ্যে (২০৩৫-এর মধ্যে) তেল আমদানির খরচ কমতে পারে ৯.১৭ লক্ষ কোটি টাকা। কারণ, সে ক্ষেত্রে গাড়ির জ্বালানির ব্যবহার কমতে পারে ৫১০০ কোটি লিটার। পাশাপাশি, পরিবেশ দূষণ কমাতেও
কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে এটি। ‘দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট’ বা টেরির সমীক্ষায় এই দাবি করে বলা হয়েছে, এতে প্রতি দিন ১১.৫ টন পিএম ২.৫ (বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা, যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার বা তার কম) এবং ৬.১০ কোটি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ কম হবে।
সমীক্ষায় আরও দাবি, প্রথাগত জ্বালানির গাড়িকে বৈদ্যুতিকে বদলাতে ওই ৪৪টি শহরে ৪৫ হাজারের বেশি চার্জিং স্টেশন ও ১৩০টি পুরনো গাড়ি বাতিল কেন্দ্র (স্ক্র্যাপিং) গড়তে হবে। অর্ধেক পুরনো গাড়িকে সিএনজিতে বদলাতে প্রায় ২৬৫৫টি নতুন স্টেশন লাগবে। পাশাপাশি, এই পরিবর্তনের ফলে ৪৫,০০০ থেকে ৩.৭ লক্ষ পর্যন্ত কর্মসংস্থান হতে পারে।
সমীক্ষা বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে ওই সব শহরে পুরনো গাড়ি হবে ৭৫ লক্ষের বেশি। মূলত শীতকালে যে ভাবে পরিবহণের ফলে দূষণ হয়, তা বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করলে কমানো সম্ভব। ডিজ়েল চালিত পুরনো বাসেই সবচেয়ে বেশি দূষণ হয়। পাঁচ বছরে তা বন্ধ করলে পিএম ২.৫-এর দ্বারা দূষণ
৫০% এবং নাইট্রোজ়েন অক্সাইড দ্বারা ৮০% কমানো সম্ভব। দূষণের জন্য
অটোকে সমানভাবে দায়ী করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা