দ্রুত ফেরানো হোক পূর্ণমকে, আর্তি বাবার
পঞ্জাবের পাঠানকোটে ফিরোজপুর ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত পূর্ণম। বুধবার রাতে সহকর্মীরা বাড়িতে ফোন করে জানান, ওই দিন দুপুরে ভুল করে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ঢুকে একটি গাছের তলায় বিশ্রাম
নেওয়ার সময় সে দেশের রেঞ্জার্স তাঁকে বন্দি করে।
ঘটনার পরে কেটেছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি। বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএফের তরফে ফোনে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয় বলে পরিবারের লোকেরা জানান। পূর্ণমের ভগ্নিপতি সুরেশকুমার গুপ্ত জানান, শুক্রবার দুপুরে বিএসএফের সদর কার্যালয় থেকে পূর্ণমের স্ত্রী রজনীর মোবাইলে ফোনে জানানো হয়, পূর্ণমকে মুক্ত করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে।
পূর্ণমের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতে রিষড়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে হরিসভার পাশে সুশীলাচন্দ্র আওয়ান রোডে তাঁদের বাড়িতে যাচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুমন ঘোষের ফোনে পূর্ণমের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁদের আশ্বাস, পূর্ণমকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা হচ্ছে। চাঁপদানির বিধায়ক তথা তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র পূর্ণমদের বাড়িতে যান। এ দিন দুপুরে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ণমকে মুক্ত করার ব্যাপারে রাহুল গান্ধীকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলার লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন। শুভঙ্করের আশা, দুই দেশের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। মুক্তি পাবেন পূর্ণম।