পাঁচ বছর যুদ্ধবিরতির
দাবি তুলল হামাস
তেল আভিভ, ২৬ এপ্রিল: গাজ়ার দ্বন্দ্বে ইতি টেনে চূড়ান্ত চুক্তি করতে প্রস্তুত হামাস। তবে শর্তসাপেক্ষে। তারা সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, কিন্তু বিনিময়ে অন্তত পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতি চাই। ইজ়রায়েলের দাবি মতো অস্ত্র পরিত্যাগ করতেও রাজি নয় তারা। এমনটাই দাবি জানালেন প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠীটির এক মুখপাত্র।
শীঘ্রই হামাসের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের বৈঠক বসতে চলেছে কায়রোয়। তার ঠিক আগে নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে ওই হামাস নেতা বলেছেন, ‘‘আমরা এক দফাতেই সমস্ত বন্দিকে ইজ়রায়েলের হাতে তুলে দেব। কিন্তু ওরা যদি পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তা হলেই সেই বন্দি বিনিময় সম্ভব।’’
গত ১৭ এপ্রিল ‘আংশিক’ যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করেছিল হামাস। ইজ়রায়েলের প্রস্তাব ছিল, ৪৫ দিনের বিরতি। তাতে ১০ জন জীবিত বন্দিকে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু হামাস রাজি হয়নি। তাদের দাবি, তারা পাকাপাকি ভাবে যুদ্ধের শেষ চায়। তা না হলে অন্তত পাঁচ থেকে সাত বছর। সেই সঙ্গে গাজ়া ভূখণ্ড থেকে ইজ়রায়েলি সেনা প্রত্যাহার চায় তারা। মানবাধিকার সংস্থাগুলিকেও অবিলম্বে গাজ়ায় প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে হামাস। পরিবর্তে বন্দি বিনিময় করা হবে। উল্টো দিকে, ইজ়রায়েলের দাবি, সমস্ত বন্দিকে ফেরত দিতে হবে এবং হামাস-সহ গাজ়ার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় শর্তটি খারিজ করে দিয়েছে হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। সেই হামলায় ১২১৮ জনের মৃত্যু হয়। বহু ইজ়রায়েলিকে অপহরণ করে হামাস। অপহৃত ২৫১ জনের মধ্যে ৫৮ জন এখনও হামাসের ডেরায় বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে ৩৪ জন আর বেঁচে নেই বলে মনে করা হচ্ছে। হামাসের দাবি, ৫১,৪৯৫ জন প্যালেস্টাইনির প্রাণহানির পাশাপাশি পণবন্দি ইজ়রায়েলিদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ইজ়রায়েলের হামলায়। আজ একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে তারা। তাতে ইজ়রায়েলি বোমা বর্ষণের পরে কী ভাবে একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে বন্দিদের।
সংবাদ সংস্থা