ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে মৃত ৮, জখম ৭৫০ পার
তেহরান, ২৬ এপ্রিল: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহিদ রাজাই। রাজধানী তেহরান থেকে হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই বন্দরে আজ বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম সাড়ে সাতশোরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বন্দরে আসা কন্টেনারের বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকে এই বিস্ফোরণ।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বন্দরে সার দিয়ে সাজানো রাশি রাশি কন্টেনার। তার মধ্যে দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কমলা আগুনের শিখা আর কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে আকাশ। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ছুটে আসে চারটি উদ্ধারকারী দল। আগুন নিভিয়ে জখমদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। উদ্ধারকারীদের এক জন বলেন, ‘‘একের পর এক কন্টেনার ফাটছিল। বিকট সেই আওয়াজ। সকলে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করছিল।’’ বিস্ফোরণের অভিঘাতে স্থানীয় একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার দূরের বাড়িঘরেও কাচ ভেঙেছে।
ইরানের জরুরি পরিষেবা বিভাগের এক মুখপাত্র হোসেন জ়াফারি বলেন, ‘‘কন্টেনারের বিপজ্জনক রাসায়নিক থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।’’ এক প্রশাসনিক কর্তার মতে, কন্টেনারে বিপজ্জনক রাসায়নিক নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু বন্দরে সব নিয়ম ঠিক ভাবে মেনে চলা হত না। ওই এলাকায় বিপজ্জনক রাসায়নিকে ভরা কন্টেনার জমছিল। ফলে যে কোনও দিন বিপদ ঘটতে পারত। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন।
ইরানের এই বন্দর দিয়ে বছরে ৮ কোটি টন কন্টেনার ওঠানামা করে। বিশ্ব বাণিজ্যের নিরিখে যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শহিদ রাজাই বন্দর থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হরমোজ়গান প্রদেশের রাজধানী বন্দর আব্বাস। আন্তর্জাতিক তেল রফতানির এক পঞ্চমাংশ হরমোজ়গান প্রণালী দিয়ে হয়ে থাকে।
এ দিকে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আজ ওমানে বৈঠক চলছে ইরান ও আমেরিকার। যদিও এ বিষয়ে কত দূর কথা হল, তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও দেশই। সংবাদ সংস্থা