আত্মঘাতী অভিযোগকারিণী
ক্যানবেরা, ২৬ এপ্রিল: ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য, ডিউক অব ইয়র্ক, প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং আমেরিকান ধনকুবের জেফরি এপস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন এবং হেনস্থা নিয়ে একেবারে প্রথম থেকে যাঁরা সরব ছিলেন, তাঁদের অন্যতম তিনি। ভার্জিনিয়া জুফ্রে নামে সেই অভিযোগকারিণী আত্মহত্যা করেছেন।
ভার্জিনিয়া অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর যখন মাত্র ১৭ বছর বয়স, সেই সময়ে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিল এপস্টাইন। অজস্র মহিলা এবং শিশুকে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, নারী পাচারের মতো অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এপস্টাইনকে। ফ্লরিডার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় সে। ১৩ মাস জেলে কাটানোর পরে মুক্তিও পায় সে। পরে, ২০১৯ সালে ফের নারী ও নাবালিকা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয় সে। ওই বছরই নিউ ইয়র্কের এক সংশোধনাগারে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। তবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আমেরিকার নাগরিক ভার্জিনিয়া দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-সন্তানদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার পার্থের শহরতলি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৪১ বছরের ভার্জিনিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল ভার্জিনিয়ার। তাঁর পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যৌন হেনস্থা এবং নারী পাচারের বিরুদ্ধে ভার্জিনিয়া বরাবরই প্রথম সারিতে থেকে লড়ে গিয়েছেন। অসংখ্য নির্যাতিতা মেয়েদের আলোর পথ দেখিয়েছেন তিনি। বহু বাধা-বিপত্তির মধ্যেও তাঁর জীবন ছিল উজ্জ্বল। আমরা তাঁর অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভব করব’। সংবাদ সংস্থা