দিঘার মন্দিরে বিগ্রহ-বিতর্ক, তদন্ত পুরীতে
নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা ও কলকাতা: উদ্বোধন-পর্ব মিটেছে। তবে দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক। সরকারি টাকায় মন্দির, নামের সঙ্গে ধামের পরে এ বার বিতর্কের মূলে জগন্নাথের কাঠের বিগ্রহ।
অভিযোগ, ২০১৫ সালে পুরীর মন্দিরে নব কলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্ট অংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘার মন্দিরের জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি। এ ক্ষেত্রে নিশানায় পুরীর সেবাইত রাজেশ দয়িতাপতি তথা রামকৃষ্ণ
দাস মহাপাত্র।
হুবহু পুরীর মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। নির্মাণকাজ চলাকালীন বার বার দিঘায় এসেছেন রাজেশ। মন্দির উদ্বোধনের সময়ও তিনিই ছিলেন পুরীর প্রধান প্রতিনিধি। জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মার্বেল পাথরের মূর্তির পাশাপাশি কাঠের বিগ্রহে
প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয়েছে রাজেশের নেতৃত্বে। তিনি পুরীতে ফিরতেই বেধেছে বিতর্ক।
ওড়িশা সরকারের বক্তব্য, দিঘায় মন্দিরের উদ্বোধনে এসে রাজেশ সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন, পুরীর মন্দিরের অতিরিক্ত কাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মূর্তি গড়া হয়েছে। পুরীতে প্রায় ১৯ বছর পুরনো বিগ্রহ সমাহিত করে নিম কাঠের নতুন জগন্নাথ মূর্তি গড়া হয়। এই নব কলেবর প্রথায় প্রধান ভূমিকা থাকে দয়িতাপতিদেরই। রীতি অনুসারে, বিগ্রহ তৈরির পরে অতিরিক্ত কাঠ ও পুরনো মূর্তির কাঠ মন্দিরের ‘রত্ন ভান্ডারে’ রাখা থাকে। পুরীতে শেষ নব কলেবর হয়েছিল ২০১৫ সালে। অভিযোগ, ওই বছর যে কাঠ অবশিষ্ট হিসেবে গচ্ছিত ছিল, তা দিয়েই দিঘার মূর্তি হয়েছে।
ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছেন পুরীর মন্দির কমিটি (শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-র প্রধান অরবিন্দকুমার পাধিকে। শনিবার মন্ত্রী জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানান, পুরীর সাংসদ হিসেবে তিনিও তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন। একই সঙ্গে সম্বিতের মন্তব্য, ‘‘জগতে একটিই জগন্নাথ ধাম। তা হল পুরীর জগন্নাথ ধাম। আর কোনও স্থানকে জগন্নাথ ধাম আখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়।’’ তৃণমূলের সহ-সভাপতি