শিল্পে উৎসাহ ছাড় প্রত্যাহার করল রাজ্য
চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য
শিল্পে সব ধরনের উৎসাহ ছাড় (ইনসেন্টিভ) দেওয়ার চালু সুবিধা প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকার।
এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ‘বৃহত্তর জনস্বার্থে’ কল্যাণ তথা অনুদান, সামাজিক প্রকল্পগুলির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সেগুলিকে আরও জোরদার করার উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের। ঘটনাচক্রে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প। পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, রাজ্যের কোষাগারের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন ‘শ্যাম ও কুল’ রাখা কার্যত অসম্ভব হচ্ছে রাজ্যের পক্ষে। তাই শিল্পে এমন বিপুল খরচ ছেঁটে সামাজিক প্রকল্পগুলিতে টাকা জোগাড়ের চেষ্টাই এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলছে— তবে কি ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে শিল্পায়নের বদলে শুধু ‘জনমোহিনী’ পথকেই বেছে নিতে চাইছে নবান্ন। তা হলে, রাজ্যের শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের গতি রুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা
করছেন তাঁরা। যদিও নবান্নের বক্তব্য, আরও উন্নত এবং সময়োপযোগী শিল্পনীতি সামনে আনবে রাজ্য। তাতে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের পথ আরও সুগম হবে।
যে কোনও রাজ্য বিনিয়োগ টানতে বিনিয়োগকারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা (উৎসাহ ছাড়)-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দান করে আসছে বহু কাল ধরে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। তাতে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও ভর্তুকি, সুদ-কর-ডিউটি ছাড়-সহ শিল্পে উৎসাহদানে নানা পদক্ষেপ থাকে। কিন্তু ভবিষ্যতে এ রাজ্যের শিল্প সংস্থাগুলি যে তার কিছুই দাবি করতে পারবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। এমনকী, এই নীতিতে অতীতের বকেয়া কিছু থাকলে, তা-ও যে শিল্পমহলের দাবির আওতায় আসবে না, আইন করে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এই ধরনের ‘উৎসাহ-ছাড়’ দিতে সরকারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, ১৯৯৩, ১৯৯৯, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৫ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনসেন্টিভ স্কিম’, ২০০৫ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনসেন্টিভ টু পাওয়ার ইনটেন্সিভ ইন্ডাস্ট্রিজ় স্কিম, ২০০৮ এবং ২০১৩ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট সাপোর্ট ফর ইন্ডাস্ট্রিজ় স্কিম— সবই প্রত্যাহারের তালিকায় থাকছে। অর্থাৎ, বাম সরকারের সঙ্গে তার পরবর্তী এখনকার সরকারের সময়ের চালু শিল্প সহায়ক এই সুবিধাগুলি বাতিল হচ্ছে আগামী দিনে। অভিজ্ঞ এক কর্তার কথায়, “চালু ইনসেন্টিভ স্কিমের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ