অপরাধে হাতেখড়ি আগেই, গণধর্ষণে অধরা চতুর্থ অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা
দক্ষিণ কলকাতায় নাবালিকাকে গণধর্ষণে ধৃতদের অপরাধে ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আগেই। মারপিট, ঝামেলা, গোলমালের অভিযোগে ধৃত এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বার তিনেক পুলিশের খাতায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যদিও তাদের অপরাধে লাগাম পড়েনি। নাবালিকা গণধর্ষণের তদন্তে নেমে এমনই জেনেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, এক ধৃতের ফোন হারানোর রহস্য ভাবাচ্ছে পুলিশকে। অপরাধের পরে আচমকা ফোন হারানোর পিছনে অন্য রহস্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পার্টি করার নামে বছর ষোলোর ওই নাবালিকাকে অতিথিশালায় ডেকে তাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৯ ডিসেম্বরের এই ঘটনার প্রায় সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নাবালিকার মা। তদন্তে নেমে আরিয়ান মিশ্র, ঋষি আগরওয়াল এবং সোহম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে তিন জনকে ধরেছে পুলিশ। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, প্রাথমিক ভাবে সোহমের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় ওই নাবালিকার। সোহমই তাকে অতিথিশালায় ডেকেছিল। সেখানে সোহম, বাকি দুই অভিযুক্ত ছাড়াও ছিল আরও এক জন। চতুর্থ সেই যুবকের খোঁজ চলছে। তার সন্ধান মেলেনি।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অতিথিশালায় ওই নাবালিকার কিছু ছবি তুলেছিল সোহম। সেই ছবি দেখিয়ে পরে তাকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হত। যদিও সোহমের সেই ফোনের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পুলিশি জেরায় তার দাবি, ফোনটি হারিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জেনেছে, গণধর্ষণের ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই চারু মার্কেট থানায় ফোন হারানোর অভিযোগ দায়ের করে সোহম। যদিও আদৌ ফোন হারিয়েছে, নাকি পুলিশি নজর এড়াতে এটা করা হয়েছে— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক তদন্তকারী আধিকারিকের কথায়, ‘‘দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনাবশত ফোন হারিয়েছে, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ জেনেছে, ধৃতেরা আগেও একাধিক অপরাধে জড়িত ছিল। আরিয়ানের নামে আগেও পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। চারু মার্কেট-সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ মিলেছে। আইনি খাতায় আরিয়ানের নাম জড়ালেও সোহম, ঋষিও তার সঙ্গী ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।