চলতে চলতেই সুড়ঙ্গের মধ্যে থমকে গেল ট্রেন, নিবে গেল সব আলো। এক সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল দেশ জুড়ে সব রাস্তার সব ট্র্যাফিক সিগনাল, মেট্রো রেল, উঁচু উঁচু বাড়ির লিফ্ট। ক্রেডিট কার্ডে কেনাবেচাও বন্ধ, কারণ পিওএস মেশিন কাজ করছে না। থমকে গেল বিমানবন্দরের সঙ্কেতব্যবস্থা। মুমূর্ষু রোগীর শ্বাসবায়ু জোগাচ্ছিল যে ভেন্টিলেটর, বন্ধ হয়ে গেল তা-ও। অ্যাপোক্যালিপস নয়, কোনও হলিউডি ওয়েব সিরিজ়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার দৃশ্যাবলিও নয়। স্পেন এবং পর্তুগালে হঠাৎই দেশজোড়া বিদ্যুৎ বিপর্যয় হল; আংশিক ভাবে অন্ধকারে ডুবল ফ্রান্সও। ইউরোপের পাওয়ার গ্রিডের কোনও সমস্যার কারণেই বিপর্যয়, জানা গিয়েছে আপাতত। প্রায় ২৩ ঘণ্টা চলল এ রকম; পাওয়া গেল বেশ কিছু মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর, যেগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে সম্পর্কিত এই বিপর্যয়ের সঙ্গে। কারও মৃত্যু ঘটেছে অসাবধানে মোমবাতি থেকে আগুন লেগে; কেউ মারা গিয়েছেন বদ্ধ ঘরে কার্বন মনোক্সাইড জমে। ভেন্টিলেটর বন্ধের কারণেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলেই শোনা যাচ্ছে। ভাবলে হাড় হিম হয়ে আসে— বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে কী ভাবে সভ্যতা ভেঙে পড়তে পারে মুহূর্তে।
পুরোটা মিথ্যা নয়
ভারতের নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির খবরটি ভুয়ো, জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিনিধি সংস্থা। তবে, একেবারে ভিত্তিহীন নয়। সত্যিই ২০২৩ সালে জারি হয়েছিল এমন একটি নিষেধাজ্ঞা— বলা হয়েছিল, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি না করতে, কারণ এই রাজ্যগুলির ছাত্রদের মধ্যে নাকি ভুয়ো নথি জমা দেওয়ার প্রবণতা বেশি; ‘ড্রপআউট’-এর হারও বেশি। তবে, এই নিষেধাজ্ঞাটিও ছিল সাময়িক, পরে তুলে নেওয়া হয়। এখন অবশ্য অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়া আগের চেয়ে কঠিন। রেকর্ড পরিমাণ অভিবাসনের প্রতিক্রিয়ায় সে দেশে বিদেশি ছাত্রদের জন্য ভিসার কড়াকড়ি হয়েছে, খরচও বেড়েছে। ফলে, ২০২৩-এর তুলনায় গত বছর ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমেছে ১২ শতাংশ।
নতুন করে ‘গড়া’
এত কাল ধরে মিশরে গিজ়া-র পিরামিডের জনপ্রিয়তায় ভাটা না পড়লেও, বহু কাল ধরেই এখানকার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, বিশেষত পিরামিড প্রাঙ্গণে পশু-নিপীড়ন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আচরণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, গিজ়ায় অতিরিক্ত ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী স্থানটির বৈশিষ্ট্য নষ্ট হওয়ার কারণেও বিরক্ত অনেকেই। সমস্যার সমাধানে তাই বহু অর্থ ব্যয়ে পর্যটনকেন্দ্রটির পুনর্গঠনের কাজে উদ্যোগী হয়েছে সে দেশের প্রশাসন। অনলাইন টিকিট প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎচালিত পরিবহণ ব্যবস্থা, বিভিন্ন সমাধির প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ এবং পশু নির্যাতন বন্ধ করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
দে দৌড়
ইঁদুর দৌড়ে সে হয়তো ঢের এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সত্যিকারের দৌড়ে রোবট এখনও পিছিয়ে মানুষের থেকে। চিনে সম্প্রতি হাফ-ম্যারাথনে মানুষের পাশেই দৌড়ল অনেকগুলো হিউম্যানয়েড রোবট, তবে সময়ের গড় ব্যবধান ৫৬ মিনিট, বেশ লজ্জার। সব ব্যবস্থাই ছিল: মানুষ প্রতিযোগীর যেমন জল খাওয়ার বিরতি, রোবটের তেমনই ব্যাটারি পাল্টানোর। এমনকি কোনও রোবটের দৌড়তে অসুবিধা হলে বিকল্প রোবটও নামানো গেছে শর্তসাপেক্ষে। এ আসলে মানুষের সঙ্গে টক্করের ব্যাপার নয়, চিনা রোবটিক্স সংস্থাগুলো বাজিয়ে দেখে নিল তাদের প্রোডাক্টের ‘দৌড়’ কতটা। আসল লক্ষ্য গুণমানের ‘ফিনিশিং লাইন’-এ আমেরিকার রোবটকে টপকানো!
মন্দ কপাল
অ্যামাজ়ন কর্তা জেফ বেজ়োস-এর অন্তরিক্ষযানে চড়ে সম্প্রতি ১১ মিনিটের জন্য মহাকাশে গিয়েছিলেন পপ তারকা কেটি পেরি। সঙ্গে ছিলেন বেজ়োস-এর বাগ্দত্তা-সহ আরও পাঁচ ‘সফল নারী’। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় এমন ব্যয়বহুল শখ মেটানোয় সমাজমাধ্যমে তীব্র কটাক্ষের সম্মুখীন কেটি। অনেকের মন্তব্য, এ হল কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ। সদ্য ‘বিশ্ব সফর’ শুরু হয়েছে, কিন্তু কেটির সময়টা ভাল যাচ্ছে না। অ্যালবাম ফ্লপ হয়েছে। প্রথম মহিলা পর্যটক-দলের অংশ হয়ে মহাকাশে ওড়ার নজির গড়লেও, নেট-দুনিয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন। দু’সপ্তাহ চুপচাপ থাকার পর, এই ‘আক্রমণ’ সম্পর্কে কেটি বলেছেন, আহত হয়েছেন, তবে আশা হারাননি মোটেও।