দুই বাংলাদেশিকে ফেরাল বিএসএফ
নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার ও শিলিগুড়ি: সমাজমাধ্যমের জন্য ‘রিল্স’ তুলতে ভারতীয় ভূখণ্ডের চা বাগানে ভুল করে ঢুকে পড়েছিলেন মামা-ভাগ্নে। ভাগ্নে এ বার এসএসসি (বাংলাদেশে মাধ্যমিকের সমতুল) পরীক্ষার্থী। তা জানতে পেরে শুক্রবার রাতেই বিজিবির মাধ্যমে ওই দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরাল বিএসএফ। অন্য দিকে, শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় সেনা শিবিরে ঢুকে গ্রেফতার হলেন অসমের এক যুবক। তিনি আফগান নাগরিক বলে সন্দেহ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেনা শিবিরে তিনি ঢুকেছিলেন কেন, স্পষ্ট হতে চায় পুলিশ ও সেনা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের অন্তর্গত ৯৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের গোমতী সীমা চৌকি সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগানে ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের দুই বাসিন্দা। বিএসএফ সূত্রে খবর, তাঁদের নাম মাহফুজ ইসলাম ইমন ও সাজেদুল ইসলাম। ইমনের বাড়ি পাটগ্রামে। সাজেদুলের বাড়ি বগুড়ায়। সম্পর্কে তাঁরা মামা-ভাগ্নে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ জানতে পারে, ইমন এ বার বাংলাদেশে এসএসসি পরীক্ষার্থী। মামার সঙ্গে চা বাগানে ‘রিল্স’ তুলতে গিয়ে ভুল করে ভারতে ঢুকেছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বিএসএফের সঙ্গে। রাতেই দু’জনকে বিজিবি-র হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত করে দেখেছি, দু’জনে ভিডিয়ো তুলতে গিয়ে ভুল করেই এ দেশে ঢুকেছিল। আগে কোনও অসামাজিক কাজের রেকর্ডও পাইনি। রাতেই বিজিবির সঙ্গে ফ্ল্যাগ বৈঠক করে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কাছে দু’জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।” এই ঘটনার পরে বাংলাদেশে আটক কৃষক উকিল বর্মণের মুক্তির দাবি আরও জোরদার হয়েছে।
অন্য দিকে, শুক্রবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় সেনা শিবিরে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। সন্দেহ হতে তাঁকে আটক করেন জওয়ানেরা। কথায় অসঙ্গতি দেখে ওই ব্যক্তিকে মাটিগাড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত আসিয়া খানের বাড়ি অসমে। রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি অসমের বাসিন্দা হলেও তাঁর পরিবার আফিগানিস্তানে থাকে।
শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, “বিনা অনুমতিতে ওই ব্যক্তি সেনা শিবিরের ভিতরে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় নাগরিক, এমন পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। তবে পুরো ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।” সেনার গোয়েন্দা বিভাগের তরফে ওই ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যদিও ধৃতের দাবি, এক জনের থেকে সুদের টাকা আদায়ে তিনি সেনা শিবিরে গিয়েছিলেন। সেই দাবি কতটা ঠিক, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার ওই ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়।