বিগ্রহ-বিতর্ক
জয়প্রকাশ মজুমদার পাল্টা বলেন, “মন্দির তৈরি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৈরি হওয়ার পরে ওড়িশার বিজেপি সরকারের মন্ত্রী মূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ আসলে হিন্দুত্বের কথা বলে ওঁদের চূড়ান্ত দ্বিচারিতা।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জগন্নাথদেবের কাঠও চুরি করে আনা হল! রাজেশ দয়িতাপতিকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করুক পুলিশ।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দিঘার ‘ধাম’ তকমা প্রত্যাহার করতে বলেছেন পুরীর পদ্ম সম্মানপ্রাপ্ত বালু চিত্রশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক। পুরীর সেবায়েতরাও এতে ক্ষুব্ধ। প্রবীণ সেবায়েত রামচন্দ্র দয়িতাপতি বলেন, “জগন্নাথ মন্দির সর্বত্র হতে পারে। কিন্তু হিন্দু ধর্মে চারটে ধাম। দিঘা কী করে জগন্নাথ ধাম হবে?” পুরীর জগন্নাথ সেনা সংগঠনের নেতা প্রিয়দর্শন পট্টনায়কের মতে, “দিঘার ধাম তকমার মাধ্যমে মমতা বাঙালিদের বোকা বানাচ্ছেন।” পাশাপাশি, দারুব্রহ্ম জগন্নাথের পাথরের মূর্তি নিয়েও পুরীর সেবায়েতদের ঘোর আপত্তি। প্রবীণ দয়িতাপতি বিনায়ক দাস মহাপাত্রের আবার প্রশ্ন, “কী ভাবে মন্দিরে সুরক্ষিত দারু (কাঠ) অন্যের হাতে গেল?” ভুবনেশ্বরের শ্রী জগন্নাথ ইনস্টিটিউটের কর্তা জগন্নাথ বিশারদ সুরেন্দ্রনাথ দাস মনে করালেন, পুরীর মন্দিরের কাঠ ব্যবহার করলে মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতেই হবে।
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজেশ দয়িতাপতি। তাঁর দাবি, “আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।” দিঘার মন্দির সরকারি ভাবে নির্মিত হয়েছে। তবে এই বিতর্কের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের কোনও বক্তব্য রাত পর্যন্ত জানা যায়নি।