কড়া জবাব
হামলার পরে কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে। প্রত্যাঘাতের কৌশল নিয়ে সরকারের শীর্ষ স্তরে তৎপরতার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তাঁর প্রস্তাবিত রাশিয়া সফর বাতিল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল, ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মোদী হাজির থাকবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সেই সফর বাতিল করা হয়। পরে ঠিক হয়, রাজনাথ সিংহ রাশিয়ায় যাবেন। সরকারি সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনাথও দেশের বাইরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাকিস্তানকে জবাব দিতে ভারত সরকারের তোড়জোড়ের মধ্যেই ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তারা আজ সফল ভাবে একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। ভূমি থেকে ভূমি এই ক্ষেপণাস্ত্র ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে বলে পাক সরকার জানিয়েছে। পহেলগাম হামলার পরে দু’দেশের মধ্যে চূড়ান্ত উত্তেজনার পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে প্ররোচনা হিসেবেই দেখছে ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে পাক সরকারের তরফে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ ও সেনা কর্তারা ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে’ এই সামরিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেছেন, সিন্ধুর জল আটকাতে ভারত বাঁধ বানালে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘শুধু গুলি বন্দুকেই আগ্রাসন হয় না। জল আটকে দেওয়াও আগ্রাসনের একটা রূপ। সেটা করলে খিদে তেষ্টায় মানুষ মরতে পারে।’’
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসতে পারে। মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট তথা ওই মঞ্চে গ্রিসের স্থায়ী প্রতিনিধি ইভাঞ্জেলোস সেকেরিস বলেছেন, ‘‘বৈঠকের প্রস্তাব এলে তা ডাকা যেতেই পারে। আমার মনে হয়, বৈঠক হতেই পারে। এর ফলে আলোচনার রাস্তা তৈরি হবে, উত্তেজনা কমাতে তা সাহায্য করবে।’’ ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভারত ও পাকিস্তান— দু’পক্ষকেই ধৈর্য্য বজায় রাখার অনুরোধ করেছে। আর সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে দুনিয়ার সামনে কোণঠাসা ইসলামাবাদ এ বার তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পৌঁছেছে উপসাগরীয় দেশগুলির দরজায়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েতের কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ পহেলগাম হামলায় তাঁদের ভূমিকা না থাকার
দাবি করেছেন।