অবৈধ ভাবে ভারতে বাস, গ্রেফতার প্রৌঢ়া
নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর: অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে শনিবার সকালে চন্দননগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এক প্রৌঢ়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। এখানে বিয়ে করে বসবাস করছিলেন।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রৌঢ়ার কাছ থেকে এ দেশে থাকার কোনও বৈধ নথি মেলেনি। তাঁর পাকিস্তানের নাগরিকত্ব রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ এ দিনই ধৃতকে চন্দননগর আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় চার দশক আগে ‘ট্যুরিস্ট ভিসা’য় এ দেশে আসেন ওই মহিলা। ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি ফেরেননি। পহেলগাম-কাণ্ডের পর পাক নাগরিকদের ঘরে ফেরানোর নির্দেশ আসতেই নড়েচড়ে বসে সব রাজ্যের প্রশাসন। চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ষাট ছুঁইছুঁই ওই প্রৌঢ়ার খোঁজ শুরু করে। গোটা ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রৌঢ়ার বাড়ির লোকেরা।
এলাকার প্রবীণদের একাংশের দাবি, প্রৌঢ়ার বাপের বাড়ির তরফে আত্মীয়স্বজন রয়েছেন হুগলির নালিকুলে। প্রৌঢ়ার জন্ম ভারতেই। তবে, এক সময়ে তাঁর বাবা মেয়েকে নিয়ে কর্মসূত্রে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি চলে যান। অনুমান, সেখানে গিয়ে তাঁরা পাক নাগরিকত্ব নেন। ১৯৮২ সালে চন্দননগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক বেকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয় মহিলার। তাঁদের দুই মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিষয়টিকে মানবিক ভাবে দেখার আবেদন জানিয়েছেন
এলাকাবাসী। চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। এটা দেশের স্বার্থের ব্যাপার। নিয়ম অনুযায়ী যা করার
পুলিশ-প্রশাসন করবে।’’