জোড়া অভিযোগ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে তিনি মন্দির উদ্বোধনে দিঘায় গিয়েছিলেন। সেখানে যে বিগ্রহ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তা সাধারণ নিম কাঠের। ‘দারু ব্রহ্ম’ নয়। তবে দিঘায় মন্দির উদ্বোধন পর্বে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজেশ কিন্তু বলেছিলেন, পুরীর মন্দিরের মতোই দিঘাতেও ১২ থেকে ১৯ বছর অন্তর দারু (নিম কাঠ) মূর্তিকে সমাহিত করে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এ দিন বৈঠক শেষে রাজেশের মন্তব্য, ‘‘পুরীর মন্দির প্রশাসন মতামত জানতে ডেকে পাঠিয়েছিল। যা জানানোর সেখানে জানিয়েছি।’’ বৈঠকে উপস্থিত অন্য দয়িতাপতিদের তরফে সুভাষ দত্ত দাস মহাপাত্র বলেন, ‘‘দারু ব্রহ্ম এবং ধাম বিতর্কের সত্য উদ্ঘাটনে মন্দির প্রশাসন যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা বলে, লিখিত ভাবে আমরা সেই প্রস্তাব দিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত ওড়িশার বিজেপি সরকারের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দনের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে পুরীর মন্দির প্রশাসন।
ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিনও সমাজমাধ্যমে দাবি করেন, ‘‘রাজেশ দয়িতাপতিকে দিয়ে পুরীর পবিত্র নিমকাঠ চুরি করিয়েছে তৃণমূল। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত।’’
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা নানা রকম চেষ্টা করেও প্রভু জগন্নাথের আবাহনে বাধা তৈরি করতে পারেননি। এখন ওড়িশার দলীয় সরকারকে মাঠে নামিয়েছে। মুখে হিন্দুত্বের কথা বলে হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার এই দ্বিচারিতা মানুষের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যে ভাবে মন্দির দর্শনে চলেছেন, তাতে গত কয়েক দিনে তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।’’