এসএসসি মামলায়
আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ পিটিশন বা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি দাখিলের কথা জানায়। ১৩ মে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার অবসর গ্রহণের আগে এই রিভিউ পিটিশনের শুনানি হয় কি না, তা দেখার।
আন্দোলনে নেমে রাজ্য এবং এসএসসি-র কাছে চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের দাবি ছিল, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা বার করতে হবে। অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হননি, এমন শিক্ষকেরা স্কুলে যোগ দেওয়ার পরে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন, এমন শিক্ষকদের নাম পাঠানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী তাঁরা বেতন পাচ্ছেন। তবে সেই তালিকা বাইরে প্রকাশ করা হয়নি। উল্টো দিকে, শিক্ষাকর্মীদের এমন কোনও তালিকা সরকার বা এসএসসি তৈরি করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে চাকরিহারা গ্রুপ সি পদের কর্মীরা মাসে ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি পদের কর্মীরা মাসে ২০ হাজার টাকা করে সরকারি ভাতা পাবেন। তবে তাঁদের চাকরি বাঁচাতে সরকার এবং এসএসসি রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে বলে আন্দোলনকারীদের সবাইকেই রাজ্য আশ্বস্ত করেছে। সে দিক থেকে এই রিভিউ পিটিশন অনেকটা বাধ্যবাধকতা বলেও অনেকের মত।
প্রশ্ন উঠেছে, প্রায় ছ’হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ অবৈধ বলে এসএসসি হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কার্যত স্বীকার করেছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেনে চাকরি বাতিলের এবং বেতনের টাকা ফেরতের পদক্ষেপ এখনও করেছে কিনা স্পষ্ট নয়। কারও প্রশ্ন, অবৈধ ভাবে নিযুক্তদের চাকরি বাঁচাতে কি সরকার তৎপর হচ্ছে? সুপ্রিম কোর্ট যেখানে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ এবং অনিয়মে ভরপুর বলে রায় দিয়েছে সেখানে রাজ্য এবং এসএসসি কী যুক্তি দেবে সেটা নিয়েও আইনজীবীদের মহলে প্রশ্ন আছে।