বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে কথা
তবে সূত্রের মতে, বায়ুসেনার সামগ্রিক প্রস্তুতি, হামলা ও পাল্টা হামলার সম্ভাব্য দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত কাল নৌসেনা প্রধান ছাড়াও জঙ্গি হামলার পরে প্রথম বার জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদী।
পহেলগামের সন্ত্রাসবাদী
হামলার জবাব কড়া ভাবেই দেওয়া হবে বলে আজ আশ্বস্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আজ দিল্লিতে আয়োজিত সংস্কৃতি জাগরণ মহোৎসব অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানেন, ওঁর কাজের ধরন ও দৃঢ়তার সঙ্গেও সকলে পরিচিত। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যা আপনারা চাইছেন, তা নিশ্চিত ভাবেই হবে।’’
পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পহেলগাম হামলার কড়া জবাব দেওয়া তাঁর দায়িত্বের মধ্যে
পড়ে বলেও দাবি করেছেন
রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব হল সেনার সঙ্গে মিলে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা এবং যারা আমাদের দেশে হামলা করার সাহস দেখায়, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া।’’
এ দিকে, পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেই মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতকে পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে সম্প্রতি ফোনে কথা হয়েছে। সেখানেই লাভরভ ওই পরামর্শ দিয়েছেন। দুই বিদেশমন্ত্রীর কথার পরে রাশিয়ার দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে পহেলগামের প্রসঙ্গ উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গেই বলেছে, ‘১৯৭২-এর শিমলা চুক্তি এবং ১৯৯৯-এর লাহোর ঘোষণার শর্ত অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক কূটনীতির ভিত্তিতে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে মতবিরোধের সমাধান চেয়েছেন লাভরভ।’ যদিও জয়শঙ্কর পরে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ঘটনায় দোষী, সমর্থক এবং পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি পেতেই হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে কার্যত একই রকম বার্তা দিয়েছিল আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও। যার ফলে পাকিস্তানে সরাসরি হামলা চালানোর প্রশ্নে ভারত বেশ কিছুটা চাপে রয়েছে বলেই মত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের। পশ্চিমি দেশগুলির এমন আচরণে ভারত যে কিছুটা বিরক্ত, তা আজ গোপন করেননি জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সহযোগী দরকার, জ্ঞানদাতার দরকার নেই।’’